নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম।
চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সদস্য সচিব ও আমার দেশ পত্রিকার আবাসিক সম্পাদক জাহিদুল করিম কচি বলেছেন, দীর্ঘ ১৬ বছর আমরা সাংবাদিকরা নির্যাতনের শিকার হয়েছি। অনেককে অন্যায়ভাবে চাকরি থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। আগামী এক মাসের মধ্যে তাদের পুনর্বহাল করতে হবে, নইলে তথ্য মন্ত্রণালয়ের দফতরের সামনে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

শনিবার (১ নভেম্বর) বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। ‘সাগর-রুনি হত্যাসহ সকল সাংবাদিক হত্যার বিচার, নবম ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়ন, দশম ওয়েজ বোর্ড গঠন ও চাকরিচ্যুত সাংবাদিকদের পুনর্বহালের’ দাবিতে এই সমাবেশের আয়োজন করে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়ন (সিএমইউজ)।

তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, শুধু আমলাদের অবসরের পরও কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হচ্ছে, কিন্তু সাংবাদিকরা এখনও নবম ওয়েজ বোর্ডের সুফল পাচ্ছেন না— এটি চরম বৈষম্য। ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে এই সরকার গঠিত হলেও সাংবাদিকরা আজও ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। যদি আমাদের অধিকার হরণ করা হয়, তাহলে আমরা রাজপথে নামতে বাধ্য হব।

বক্তারা বলেন, সাংবাদিকরা সমাজের দর্পণ। সাগর-রুনি হত্যার ১৩ বছর পার হলেও বিচার হয়নি। মামলার তদন্ত প্রতিবেদন ১২১ বার পেছানো হয়েছে, যা প্রমাণ করে রাষ্ট্র সাংবাদিকদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ। যে রাষ্ট্র সাগর-রুনি হত্যাকারীদের বিচার করতে পারে না, সেখানে সাংবাদিক নির্যাতনের বিচার কিভাবে হবে?

বক্তারা অভিযোগ করেন, বিগত সরকারের সময় আমার দেশ, নয়া দিগন্ত, সংগ্রাম ও কর্ণফুলী পত্রিকায় হামলা-ভাঙচুর চালানো হয়েছিল। আজও সেই ফ্যাসিস্ট ও তাদের সহযোগীরা গণমাধ্যমে প্রভাব বিস্তার করছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হুমকি-ধমকি দিচ্ছে। যদি রাষ্ট্র এসব হামলাকারীর বিচার করতে ব্যর্থ হয়, জনগণই তাদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাবে।

সমাবেশে সঞ্চালনায় ছিলেন সিএমইউজের সদস্য মিয়া মো. আরিফ। শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন সাঈফী আনোয়ার। বক্তব্য রাখেন সিএমইউজের সাধারণ সম্পাদক সালে নোমান, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের অন্তর্বর্তীকালীন কমিটির সদস্য গোলাম মওলা মুরাদ, শহিদুল ইসলাম, নগর নিউজ-এর সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, ওয়াহিদ জামান, চৌধুরী লোকমান, সরোজ আহমেদ, আলী আকবর, নাসির উদ্দীন রকি, মুহাম্মদ আজাদ, মনিরুল ইসলাম পারভেজ ও কিরণ শর্মা প্রমুখ।