জাগো জনতা অনলাইন।। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হওয়া প্রায় দুই হাজার নবীন শিক্ষার্থীকে আনুষ্ঠানিকভাবে বরণ করে নিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।

বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের মাঠে আয়োজিত হয় এ নবীনবরণ অনুষ্ঠান।

অনুষ্ঠানে নবীনদের হাতে উপহার হিসেবে তুলে দেয়া হয় একটি কলমদানী, একটি কলম, বাংলা অর্থসহ একটি পবিত্র কোরআন শরীফ ও ছয়টি ইসলামিক বই। আয়োজকরা জানান, এ উপহার শিক্ষার্থীদের নৈতিক ও জ্ঞানভিত্তিক শিক্ষাজীবনে অনুপ্রেরণা জোগাবে।

অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও বাংলাদেশ ছাত্রশিবির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. মির্জা গালিব।

তিনি বলেন, ‘জাতির অগ্রগতির জন্য জাতীয় ঐক্য অপরিহার্য। ভাষা, ধর্ম বা জাতিগত ভিন্নতা নয়—আমাদের প্রকৃত পরিচয় নাগরিকত্ব এবং মানবিক মূল্যবোধে।’

তিনি আরো বলেন, ‘রাজনীতিকে পেশিশক্তির দুষ্টচক্র থেকে মুক্ত করে সামাজিক চুক্তির ভিত্তিতে একটি ঐক্যবদ্ধ সমাজ গঠন করতে হবে।’

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় হলো মানুষ তৈরির কারখানা। অথচ উদ্ভাবনী মেধাসম্পন্ন শিক্ষার্থীর সংখ্যা আশানুরূপ নয়। আমাদের প্রয়োজন দক্ষ, দেশপ্রেমিক এবং সৎ নেতৃত্ব।’

অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. মো: রেজাউল করিম বলেন, ‘আমরা ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ক্লাস ও পরীক্ষা দেশের অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আগেই শুরু করেছি। আমরা চাই ইতিবাচক রাজনৈতিক সংস্কৃতির বিকাশ। ছাত্রশিবিরের এ আয়োজন অন্য ছাত্রসংগঠনের জন্য অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হতে পারে।’

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বিলাল হোসাইন। তিনি বলেন, ‘জুলাই বিপ্লব আমাদের আত্মপরিচয়ের সাহস দিয়েছে। এখন সময় জ্ঞান, মূল্যবোধ ও নেতৃত্বগুণে নিজেকে প্রস্তুত করার।’

আরো বক্তব্য দেন ঢাকা দক্ষিণ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল দেলোয়ার হোসাইন সাইদি, পল্টন থানার আমীর শাহীন ইসলাম, বিশ্ববিদ্যালয়ের হল প্রভোস্ট-১ ও আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান সাদী।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জবি শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মো: রিয়াজুল ইসলাম এবং সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলিম আরিফ।

অনুষ্ঠান শেষে নবীন শিক্ষার্থীরা জানান, এই আয়োজন তাদের মনে স্বাগত বোধ ও অনুপ্রেরণার সৃষ্টি করেছে।