জাগো জনতা অনলাইন।। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যা মামলায় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আনুষ্ঠানিক চার্জ (ফরমাল চার্জ) দাখিল করা হয়েছে।

সোমবার (৩০ জুন) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশনের রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে এ অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়। ট্রাইব্যুনাল-২-এ চার্জ দাখিলের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম। তিনি জানান, আজ বেলা সাড়ে ১১টায় শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।

বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২-এর তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এ মামলার শুনানি করবেন। প্যানেলের অন্য সদস্যরা হলেন অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মঞ্জুরুল বাছিদ এবং জেলা ও দায়রা জজ নূর মোহাম্মদ শাহরিয়ার কবীর।

এর আগে, ২৪ জুন তদন্ত প্রতিবেদন চিফ প্রসিকিউটরের দপ্তরে জমা দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। ২৬ জুন প্রসিকিউটর মো. মিজানুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, প্রতিবেদনে ৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে রয়েছেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলাম, পুলিশের সাবেক এএসআই আমির হোসেন, সাবেক কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায় ও নিষিদ্ধ সংগঠনের নেতা ইমরান চৌধুরী। নিরাপত্তার কারণে বাকি আসামিদের নাম প্রকাশ করা হয়নি।

প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম আরও জানান, গত বছরের ১৬ জুলাই দুপুর ২টা ১৭ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে পার্ক মোড়ে আবু সাঈদকে গুলি করে হত্যা করা হয়। তিনি নিরস্ত্র ছিলেন এবং কাউকে আক্রমণ করেননি। ঘটনাস্থলে তার বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা ও গুলিবিদ্ধ হওয়ার ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দেশজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়।

আবু সাঈদ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক ছিলেন। তার হত্যাকাণ্ড কোটা সংস্কার আন্দোলনকে আরও বেগবান করে এবং দেশের নানা প্রান্তে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।

এ আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান।