কারাগার থেকে সুস্থ সাঈদীকে এনে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে
পিরোজপুর থেকে আরিফ।। কারাগার থেকে সুস্থ আল্লামা সাঈদীকে এনে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন মাওলানা সাঈদীর ছেলে মাসুদ সাঈদী। তিনি আরও বলেন, জামায়াতকে নিষিদ্ধ করার ৪ দিনের মাথায় আল্লাহ খুনি হাসিনাকে বাংলাদেশ থেকে বিদায় করেছে।
সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টায় পিরোজপুর পৌরসভার পশ্চিম শিকারপুর সাঈদী জামে মসজিদে ৪নং ওয়ার্ড জামায়াতে ইসলাম আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ অভিযোগ করেন।
মাসুদ সাঈদী বলেন, বাংলাদেশ থেকে ইসলামকে পর্যায়ক্রমে ধীরে ধীরে নিশ্চিহ্ন করার কাজে লিপ্ত হয়েছিল শেখ হাসিনা। খুনি হাসিনার হাত বাংলাদেশের হাজার হাজার আলেমের রক্তে রঞ্জিত। ২০০৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত শেখ হাসিনা হাজারো মানুষকে হত্যা করেছে। হাজারো মানুষকে হত্যার মাধ্যমে তার ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে চেয়েছিল।
শেখ হাসিনার বুদ্ধিদাতা, পরামর্শদাতা এবং শেখ হাসিনার গডফাদার ভারতের প্রেসক্রিপশনে বাংলাদেশ থেকে তারা ইসলামকে নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছিল। সে কারণে বাংলাদেশে ইসলাম প্রতিষ্ঠায় সকল দলের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করে কারাবন্দি করেছিল। কারাগার থেকে সুস্থ আল্লামা সাঈদীকে এনে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
হাসিনা দেশের সকল সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করে দিয়ে গেছে জানিয়ে মাসুদ সাঈদী বলেন, দেশের অর্থনৈতিক অবস্থাকে তিনি ধ্বংস করে দিয়ে গেছেন। দেশের ব্যাংকগুলোকে লুটপাট করে তার দল ও আত্মীয়-স্বজন চেটেপুটে খেয়ে গিয়েছেন। দেশের মানুষকে তিনি আজকে বিপদে ফেলে গিয়েছেন। শুধু তাই নয় তিনি তার দল আওয়ামী লীগকে বিপদে ফেলে গিয়েছেন। আমরা অন্যায়ভাবে কারো প্রতি জুলুম করতে বিশ্বাসী নই। তবে আল্লামা সাঈদীসহ আলেমদেরকে যারা হামলা-মামলা দিয়ে জেল খাটিয়ে অত্যাচার করেছে, জুলুম করেছে, নির্যাতন করেছে বাংলার মাটিতে তাদের বিচার হবেই।
এসময় অন্তঃবর্তীকালীন সরকারের কাছে হাসিনাকে ভারত থেকে ধরে এনে বাংলাদেশে তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন তিনি।
পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ড জামায়াতে ইসলাম আয়োজিত ওয়ার্ড সভাপতি অ্যাভোকেট মো. মোশারফ হোসেন এর সভাপতিত্বে স্থানীয়দের সাথে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যক্ষ তাফাজ্জল হোসাইন ফরিদ, জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি জহিরুল হক, পৌর সভাপতি আ. রাজ্জাক শেখসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।