চট্টগ্রামে সিএইচটি সম্প্রীতি জোটের সমাবেশে ‘পার্বত্য চুক্তি’ পুনর্মূল্যায়নের দাবি
নিজস্ব প্রতিবেদক।
পার্বত্য চট্টগ্রামের ১৪ জাতিগোষ্ঠীর সমান অধিকার নিশ্চিতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ এবং ভূমি ও আইনশৃঙ্খলা কাঠামোকে সংবিধানের আওতায় আনার জোর দাবি জানিয়েছে সিএইচটি সম্প্রীতি জোট। ১৯৯৭ সালের পার্বত্য শান্তি চুক্তিকে বিতর্কিত, সংবিধান-বিরোধী ও ‘কালো চুক্তি’ আখ্যা দিয়ে সংগঠনের নেতারা বলেন—চুক্তিটির সাংবিধানিক বৈধতা নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে পুনর্মূল্যায়ন করা এখন সময়ের দাবি।
মঙ্গলবার সকালে চট্টগ্রামের জামাল খান প্রেসক্লাব চত্বরে আয়োজিত সমাবেশে এসব দাবি তুলে ধরেন বক্তারা। পরে এক বিক্ষোভ মিছিল নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে চেরাগী পাহাড় মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সিএইচটি সম্প্রীতি জোটের আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার থোয়াইচিং মং শাক। বক্তব্য দেন সংগঠনের সদস্য সচিব ইখতিয়ার ইমন, মুখপাত্র পাইশিখই মারমা, কার্যকরী সদস্য শাহীন আলম, পাইমংথুই মারমা প্রেম, মুজিব উল্লাহ তুষার, রাকিব হোছাইন নওশাদ প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে ইঞ্জিনিয়ার থোয়াইচিং মং শাক বলেন, “২০২৪ সালের পট পরিবর্তনের পরও পাহাড়ের পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান ও জনসংহতি সমিতির সভাপতি জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা এখনও প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদায় রাষ্ট্রীয় সুযোগ–সুবিধা ভোগ করছেন। কোন প্রক্রিয়ায় সরকার তাকে বহাল রেখেছে—তা জাতির কাছে পরিষ্কার করা প্রয়োজন।”
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ একটি একক, অবিভাজ্য ও সাংবিধানিক রাষ্ট্র এখানে কোনো অঞ্চলে পৃথক প্রশাসনিক সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠা করা যাবে না। দেশের সব নাগরিকের সমান অধিকার ও আইনের শাসন নিশ্চিত করতে হবে।
পার্বত্য চট্টগ্রামে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠায় সেনাবাহিনীকে পূর্ণ সক্ষমতা প্রদান এবং রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে স্থানীয় জনগণের আস্থা, ভ্রাতৃত্ব ও দেশপ্রেম বৃদ্ধিতে সহায়ক কর্মকাণ্ড জোরদার করার আহ্বান জানান তিনি।











