ঢাকা | অক্টোবর ১৬, ২০২৪ - ৩:২৪ পূর্বাহ্ন

১১তম হুয়াওয়ে ‘সিডস ফর দ্য ফিউচার বাংলাদেশ’-এর নিবন্ধন শুরু

  • আপডেট: Sunday, March 3, 2024 - 5:27 pm

জাগো জনতা অনলাইন।।

হুয়াওয়ে ‘সিডস ফর দ্য ফিউচার ২০২৪ বাংলাদেশ’ প্রতিযোগিতার নিবন্ধন শুরু হয়েছে। দেশের স্নাতক তৃতীয় বর্ষ বা এর উপরের পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা তাদের  সিভি পাঠিয়ে এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারবে।  দেশের শিক্ষার্থীদের আইসিটি জ্ঞান/দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে একটি মজবুত আইসিটি অবকাঠামো গড়ে তুলতে প্রতি বছর এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করে হুয়াওয়ে।

হুয়াওয়ে বাংলাদেশ একাডেমিতে শনিবার (২ মার্চ) আয়োজিত একটি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ‘সিডস ফর দ্য ফিউচার ২০২৪ বাংলাদেশ-এর উদ্বোধনের ঘোষণা দেওয়া হয়। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত এইচ.ই. ইয়াও ওয়েন, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)-এর নির্বাহী চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মিয়া, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)-এর কমিশনার প্রকৌশলী শেখ রিয়াজ আহমেদও অন্যান্য অতিথিরাও এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। হুয়াওয়ের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের প্রেসিডেন্ট এবং হুয়াওয়ে বাংলাদেশের সিইও প্যান জুনফেংয়ের স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুরু হয়।

এই বছর পুরস্কার হিসেবে বাংলাদেশ রাউন্ডের চ্যাম্পিয়ন পাবে হুয়াওয়ে মেটবুক, প্রথম রানার আপ পাবে হুয়াওয়ে প্যাড এবং দ্বিতীয় রানার আপ পাবে হুয়াওয়ে স্মার্ট ওয়াচ। এর পাশাপাশি, এশিয়া প্যাসিফিক রাউন্ডের শীর্ষ দুইটি প্রজেক্ট টিমের সদস্যরা পাবে চীন ভ্রমণের সুযোগ।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান বলেন, “চীন ও হুয়াওয়ে বাংলাদেশকে প্রযুক্তিগতভাবে এগিয়ে যেতে সহায়তা করে আসছে।“এই প্রতিযোগিতাটি আয়োজন করার তিনি হুয়াওয়েকে ধন্যবাদ জানান, এবং এই প্রতিযোগিতা থেকে প্রাপ্ত জ্ঞানের সর্বোচ্চ  ব্যবহার করার আহ্বান জানান। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, আজকের তরুণ এই ধরণের সুযোগ-সুবিধা কাজে লাগাতে পারলে ভবিষ্যতে বাংলাদেশ জাতি হিসেবে এগিয়ে যাবে।

বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত এইচ.ই. ইয়াও ওয়েন বলেন, “”সিডস ফর দ্য ফিউচার হুয়াওয়ের একটি ফ্ল্যাগশিপ প্রোগ্রাম। এর লক্ষ্য হল সামাজিক দায়বদ্ধতাকে আরও ভালভাবে পূরণ করার পাশাপাশি বাংলাদেশের আইসিটি সেক্টরে তরুণদেরকে প্রশিক্ষিত করা। এই প্রোগ্রামটি ভবিষ্যতে বাংলাদেশের চাহিদাকে বিস্তৃতভাবে পূরণ করতে পারবে।”

তিনি আরও বলেন, “তরুণরাই বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নির্মাতা। সেইসাথে বাংলাদেশ ও চীনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কেরও ভবিষ্যৎ। আমি আন্তরিকভাবে আশা করি, এই প্রোগ্রামের শিক্ষার্থীরা হুয়াওয়ের এই জ্ঞানভিত্তিক প্ল্যাটফর্মকে সম্পূর্ণভাবে ব্যবহার করবে, অনেকের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে জ্ঞান বিনিময় করবে ও দেশকে সেবার জন্য দক্ষতা বাড়িয়ে তুলবে।””

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)-এর কমিশনার প্রকৌশলী শেখ রিয়াজ আহমেদ বলেন, “প্রায় ছয় বিলিয়ন মার্কিন ডলারের যে বিশ্বব্যাপী আইসিটি খাত তাতে বাংলাদেশেও অংশগ্রহণ করবে আমরা এমনটা প্রত্যাশা করি। আমরা জানি এই আইসিটি খাত হুয়াওয়ের উপর অনেকটাই  নির্ভরশীল।  আমাদের দেশের আইসিটি ক্ষেত্রের তরুণ প্রতিভাদের অন্যান্য দেশের তরুণদের সাথে যুক্ত করে একটি প্রতিযোগিতার মাধ্যমে যেভাবে এগিয়ে যেতে হুয়াওয়ে সাহায্য করছে তা প্রশংসার দাবীদার। । আমি এই আয়োজনের  সফলতা কামনা করি ”

লোকমান হোসেন মিয়া উল্লেখ করেছেন যে বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য এটি খুবই ভালো সময়। বাংলাদেশে দক্ষিণ এশিয়া সদর দপ্তর স্থাপনের জন্য তিনি হুয়াওয়েকে ধন্যবাদ জানান।

হুয়াওয়ের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের প্রেসিডেন্ট এবং হুয়াওয়ে বাংলাদেশের সিইও প্যান জুনফেং বলেন, “প্রতিবছরের মত এবারও ‘সিডস ফর দ্য ফিউচার ২০২৪ বাংলাদেশ’ শুরু করতে পেরে আমরা আনন্দিত। তরুণদের ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে এটি হুয়াওয়ের একটি অনন্য কর্মসূচি, যা বাংলাদেশের  জনগোষ্ঠীকে সহযোগিতা করার প্রতি আমাদের দৃঢ় প্রত্যয়কে তুলে ধরে। এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের বিশ্বমানের প্রশিক্ষণের সুবিধা প্রদানে সফল হয়েছি। আমি আত্মবিশ্বাসী যে, এই বছর আমরা আরও প্রতিভাবান তরুণকে এই প্রতিযোগিতায় যোগ দিতে দেখবো, যারা আগামীতে দক্ষ আইসিটি বিশেষজ্ঞ হিসেবে বাংলাদেশের প্রযুক্তিগত অগ্রগতিতে  নেতৃত্ব দেবে।”

বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশনের সচিব মো. নুরুল হাফিজ বলেন, “হুয়াওয়ে বাংলাদেশের আইসিটি ক্ষেত্রে অবদান রাখার পাশাপাশি অনেক ধরনের প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগ নিয়েও কাজ করছে। হুয়াওয়ের ফ্ল্যাগশিপ প্রোগ্রাম হিসেবে সিডস ফর দ্য ফিউচার শুধু কর্পোরেট দায়িত্বের উদাহরণই নয়। এতে বিশ্বব্যাপী প্রতিভাবান তরুণদেরকে দিকনির্দেশনা প্রদানের প্রত্যয়ও প্রতিফলিত হয়। ডিজিটাল যুগের পরবর্তী প্রজন্মের নেতৃত্ব সৃষ্টির জন্য চালু করা প্রোগ্রামটি শুধু প্রযুক্তিগত দক্ষতা বৃদ্ধির মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এটি আন্তর্জাতিক নাগরিকতা, সাংস্কৃতিক বিনিময় ও উদ্যোগ গ্রহণের মনোভাবকে উৎসাহিত করে।”

ন্যূনতম সিজিপিএ ৩.৩০ প্রাপ্ত বাংলাদেশী শিক্ষার্থীরা এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবে। আগ্রহী শিক্ষার্থীদেরকে ২০শে মার্চ ২০২৪-এর মধ্যে [email protected] -এ সিভি ইমেল করতে হবে।

২০১৪ সালে বাংলাদেশে শুরু হওয়ার পর থেকে ‘সিডস ফর দ্য ফিউচার’ দেশের তরুণদেরকে বিশেষ সুযোগ দিয়ে আসছে। এর মাধ্যমে তারা অত্যাধুনিক প্রযুক্তির অভিজ্ঞতা ও বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে দিক নির্দেশনা পাচ্ছে। বিশ্বব্যাপী ১৫,০০০-এরও বেশি শিক্ষার্থী ইতোমধ্যে এই প্রোগ্রাম থেকে উপকৃত হয়েছে।