ঢাকা | অক্টোবর ১৫, ২০২৪ - ১১:৫৬ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম

রাজনীতি করার অধিকার হারিয়েছে গণহত্যাকারীরা : জামায়াত আমির

  • আপডেট: Friday, September 27, 2024 - 8:31 am

খুলনা প্রতিনিধি : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, একটা দেশে যারা জনগণের ওপর গণহত্যা সংঘটিত করেছে। সে গণহত্যাকারীদের জনগণের ময়দানে রাজনীতি করার অধিকার থাকতে পারে না। রাজনীতি করতে হবে দেশের মানুষের আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করে, বাইরের কারও সাহায্য নিয়ে নয়।

বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলসহ সব স্টেক হোল্ডারদের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে সংস্কার ও নির্বাচনি রোডম্যাপ তৈরি করে যৌক্তিক সময়ের মধ্যে নির্বাচন দিতে হবে।

শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) খুলনা নগরীর সোনাডাঙ্গা আল ফারুক সোসাইটিতে খুলনা মহানগর জামায়াত আয়োজিত রুকন সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
জামায়াতে ইসলামীর খুলনা মহানগরী আমির অধ্যাপক মাহফুজুর রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার।
সম্মেলনে ডা. শফিকুর রহমান আরও বলেন, নির্বাচনের জন্য আমরা সুনির্দিষ্ট কোন সময় বলতে চাই না। তবে এটা বছরের পর বছর হওয়াও উচিৎ নয়।
এতে সমাজের শৃঙ্খলা ভেঙ্গে পড়ার আশংকা রয়েছে। তৃতীয় পক্ষ জুলমবাজরা আবার মাথা তুলে দাঁড়ানোর প্রয়াস চালাত পারে।
আওয়ামী লীগের শাসনামলের চিত্র তুলে ধরে জামায়াতের আমির বলেন, বিডিআর হত্যার মধ্যদিয়ে ফ্যাসিবাদি শাসনের প্রথম ধাপ শুরু হয়।  কিন্তু সেই তদন্ত প্রতিবেদন আজও প্রকাশ করা হয়নি।
কারা এই ঘটনায় জড়িত এটা জাতি জানতে চায়। এরপর জামায়াতের ওপর স্টিম রোলার চালানো হয়। জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের ফাঁসি দিয়ে অথবা কারাগারে রেখে হত্যার মধ্য দিয়ে শেষ পর্যন্ত জামায়াত নিশ্চিহ্ন করার অপচেষ্টা চালানো হয়। তিনি এই চক্রান্তের সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।
শিক্ষা সংস্কার কমিশনে আল্লাহকে স্বীকার করেন না এমন লোকদের অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, শিক্ষা সংস্কার কমিশনে কমপক্ষে একজন আলিয়া ও একজন কওমী নেসাবের আলেমকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

রুকন সম্মেলনে আরো বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মো. মোবারক হোসাইন ও খুলনা অঞ্চল সহকারী পরিচালক মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, খুলনা জেলা আমীর মাওলানা মুহাম্মদ এমরান হুসাইন, মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক, শেখ জাহাঙ্গীর হুসাইন হেলাল ও মুন্সি মিজানুর রহমান।