ঢাকা | ডিসেম্বর ৪, ২০২৪ - ৬:২৯ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম

বঙ্গভবনের সামনে বিক্ষোভে দুই শিক্ষার্থীসহ আহত ৩

  • আপডেট: Tuesday, October 22, 2024 - 6:47 pm

জাগো জনতা অনলাইন।। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগের দাবিতে তার বাসভবন বঙ্গভবনের সামনে বিক্ষোভকালে সংঘর্ষে তিনজন আহত হয়েছেন।

 

মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

আহতরা হলেন ফয়সাল আহমেদ, আরিফ খান ও শফিকুল ইসলাম। এদের মধ্যে আরিফ কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী, ফয়সাল ঢাকার একটি কলেজে পড়েন এবং শফিকুল ফুটপাতে ব্যবসা করেন।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিক্ষোভকারীরা রাত ৮টা ২০ মিনিটের দিকে বঙ্গভবনের সামনের ব্যারিকেড ভেঙে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করেন। এ সময় নিরাপত্তায় নিয়োজিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাদের বাধা দেন। পরে বিক্ষোভকারীদের সামলাতে ৮টা ২৫ মিনিটের দিকে সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে পুলিশ। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয় ও তিনজন আহত হন।

 

বিক্ষোভকারীরা জানান, আমাদের দাবি রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ। তিনি শেখ হাসিনার পদত্যাগ নিয়ে যে কথা বলেছেন, তার পেছনে কোনো না কোনো ইন্ধন রয়েছে।

এ বিষয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ পুলিশ ক্যাম্পের পরিদর্শক মো. ফারুক গণমাধ্যমকে বলেন, বঙ্গভবনের সামনে থেকে আহত তিনজনকে ঢাকা মেডিকেলে আনা হয়েছে। তাদের চিকিৎসা চলছে।

এর আগে, দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে মিছিল শুরু করে বঙ্গভবনের দিকে যাত্রা শুরু করে স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা কমিটি। হাইকোর্ট মাজার মোড় এলাকায় পুলিশ তাদের বাধা দেয়। কিন্তু বাধা অতিক্রম করে বঙ্গভবন পর্যন্ত এগিয়ে যায় তারা। সেখানে তারা বঙ্গভবনের সামনের খালি জায়গায় অবস্থান করতে চাইলে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে। উপায় না পেয়ে বঙ্গভবন মোড়ে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে তারা।

প্রসঙ্গত, ছাত্র-জনতার তোপের মুখে গত ৫ আগস্ট দেশত্যাগ করেন ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার দেশত্যাগের পর জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন এবং আমি তা গ্রহণ করেছি।

সম্প্রতি একটি পত্রিকার সম্পাদকের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে রাষ্ট্রপতি জানান, তিনি শুনেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছেন, কিন্তু তার কাছে এ সংক্রান্ত কোনো দালিলিক প্রমাণ বা নথিপত্র নেই। রাষ্ট্রপতি বলেন, (পদত্যাগপত্র সংগ্রহ করার) বহু চেষ্টা করেও আমি ব্যর্থ হয়েছি। তিনি হয়তো সময় পাননি।

এরপর নতুন করে রাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন সরকার পতনে নেতৃত্বদানকারীরা।