জাগো জনতা অনলাইন।। ফরিদপুরের ভাঙ্গায় এক মাদ্রাসাছাত্রী ৬ দিন ধরে নিখোঁজ। তবে শনিবার (২৫ জানুয়ারি) রাতে সড়কের পাশে ঠোঁট কাটা (মুখমণ্ডল রক্তাক্ত) অবস্থায় মেয়েটির ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়। আর সেটি দেখে তার বাবা হার্ট অ্যাটাক করেছেন।

নিখোঁজ ছাত্রীর বাড়ি ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা উপজেলায়। সে কাউলীবেড়া দারুস সুন্নাহ কওমি মাদ্রাসার পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী।

শনিবার (২৫ জানুয়ারি) রাত থেকে অজ্ঞাত সড়কের পাশে ঠোঁট কাটা রক্তাক্ত অবস্থায় বসে ওই ছাত্রীর কান্নার একটি ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়। তবে ভিডিওটা কোন থানা এলাকায় এখনও তথ্য পায়নি স্বজন ও পুলিশ।

এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে গত বৃহস্পতিবার ভাঙ্গা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়, ভাঙ্গা উপজেলার উত্তর কাউলীবেড়া গ্রামের ওই ছাত্রী মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) সকালে নিজ বাড়ি থেকে মাদ্রাসায় যাওয়ার পথে নিখোঁজ হয়।

পরিবারের লোকজন অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তার কোনো সন্ধান না পায়নি। শনিবার দিনগত রাত থেকে অজ্ঞাত সড়কের পাশে ঠোঁট কাটা রক্তাক্ত অবস্থায় সে বসে কাঁদছিল। এমন একটি ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়। অজ্ঞাত সড়কের পাশে আহত মেয়েটির ভিডিও দেখে বাবা হৃদরোগে আক্রান্ত হন। বাবার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানায় গ্রামবাসী। ওই ছাত্রীর বাবা চিকিৎসা শেষে বাড়িতে অবস্থান করছেন।
ভিডিওটা দেখে গ্রামবাসী তার বাড়িতে ভিড় করছেন। বাড়িতে স্বজনদের আহাজারি চলছে।

এলাকাবাসী জানিয়েছে, মেয়েটি সহজ সরল ও সুস্বাস্থ্যের অধিকারী। কওমি মাদ্রাসায় ৫ম শ্রেণিতে লেখাপড়া করতো। ভিডিও দেখে ধারণা করা হচ্ছে, কেউ তাকে তুলে নিয়ে যাওয়ার সময় মোটর সাইকেলে অ্যাক্সিডেন্ট করেছে অথবা কেউ তাকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করে রাস্তার পাশে ফেলে গেছে। ভিডিওতে দেখা যায় ওই মেয়েটির ঠোঁট দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে।

তারা বলেন, ‘পুলিশ প্রশাসনের কাছে আকুল আবেদন, ছাত্রীটিকে উদ্ধার করে প্রকৃত ঘটনার রহস্য উদঘাটনের দাবি জানাই। জড়িতদের আইনের আওতায় আনারও দাবি জানাই।’

ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোকছেদুর রহমান বলেন, ‘মেয়েটি নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় অভিযোগ পেয়েছি। গতকাল রাতে রক্তাক্ত অবস্থায় ওই মেয়েটির ভিডিওটা দেখেছি। বিভিন্ন থানায় মেসেজ দেয়া হয়েছে। ওই মেয়ে মূলত ওই নিখোঁজ মাদ্রাসাছাত্রী নাকি অন্য কেউ সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তাকে সন্ধান করে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।’