ঢাকা | ডিসেম্বর ২২, ২০২৪ - ১:২৫ অপরাহ্ন

শিরোনাম

আশুলিয়ায় জমির সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবিসহ প্রাণনাশের হুমকি

  • আপডেট: Sunday, December 8, 2024 - 7:50 am

ইউসুফ আলী খান।। ঢাকার অদুরে সাভারের আশুলিয়ায় জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে ২ লাখ টাকা চাঁদার দাবীর অভিযোগ উঠেছে তুহিন মিয়া নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। চাঁদা না দিলে ভুক্তভোগী ও তার পরিবারকে প্রানে মেরে ফেলার হুমকির অভিযোগ উঠেছে তুহিন মিয়া গংদের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে আশুলিয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী পরিবার।

অভিযুক্ত ব্যক্তি ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানার শ্রীপুর এলাকার আবুল কালাম আজাদের পুত্র তুহিন মিয়া (৪২) ও একই এলাকার তুহিন মিয়া পুত্র তাশিক মিয়া (২২) সহ অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জন।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় যে, ভুক্তভোগী ইউসুফ আলী খান বি আর এস ১৮৫০ নং খতিয়ানে ৩২৮৩ নং দাগের রেকর্ডীয় মালিক খায়রুল কবির খোকনের নিকট হতে গত ১০ জুলাই ২০১২ তারিখে ১২৩৮১ নং দলিল মূলে চার শতক জমি খরিদ করে বাউন্ডারি ওয়াল দিয়ে পাঁচতলা ভবন নির্মাণ করে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করে আসছেন । পরবর্তীতে ১৮৫০ নং খতিয়ানে ৩২৮৩ নং দাগের রেকর্ডীয় মালিক খায়রুল কবির খোকনের কাছ থেকে জৈনক আবুল কালাম আজাদ সোহাগ ২.৫ শতক জমি ক্রয় করেন। অতঃপর আবুল কালাম আজাদ সোহাগের নিকট হতে ২.৫ শতাংশ জমি ক্রয় করেন অভিযুক্ত তুহিন মিয়া। পরবর্তীতে বাদী ও বিবাদী মধ্যে মধ্যবর্তী সীমানা প্রাচীরের মালিকানা নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হয়। উক্ত বিরোধের জের ধরে বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, আদালত, ঢাকায় একটি পিটিশন মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগ ইউসুফ আলী খান। যাহার মামলা নং ১৭২/২৩। মামলাটি তদন্ত করেন পিবিআই।মামলাটি তদন্ত শেষে একটি প্রতিবেদন বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, আদালত, ঢাকায় জমা দেন পিবিআই।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী ইউসুফ আলী খান বলেন, আমি ২০১২ সালে চার শতক জমি ক্রয় করে বাউন্ডারি ওয়াল করে ভবন নির্মাণ করে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করে আসছি। আমি বাড়ি নির্মাণ করার পর স্বনির্ভর ধামসোনা ইউনিয়ন পরিষদে কর্মরত আবুল কালাম আজাদ সোহাগ ২.৫ শতাংশ জমি ক্রয় করেন। পরবর্তীতে সোহাগ উক্ত জমিটি তুহিন মিয়ার কাছে বিক্রি করে দেয়।

এ সময় তিনি আরো বলেন তুহিন মিয়া জমি ক্রয় করার পর বাউন্ডারি ওয়াল নিয়ে জৈনক আবুল কালাম আজাদ সোহাগ ও স্থানীয় প্রভাবশালীদের সহযোগিতায় আমার সাথে বিরোধ সৃষ্টি করে। পরবর্তীতে আমি নিরুপায় হয়ে আদালতের শরণাপন্ন হই। এ বিষয় নিয়ে আমি বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ঢাকায় একটি পিটিশন মামলা করি। বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ঢাকা মামলাটির তদন্তভার দেন পিবিআই এর উপর। পিবিআই মামলাটি তদন্ত করে সততা পেয়ে একটি প্রতিবেদন আদালতে প্রেরণ করেন। তদন্ত প্রতিবেদনটি আমার অনুকুলে থাকায় অভিযুক্ত তুহিন মিয়া গং আমাকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি প্রদান করে আসছে। গত ৫ আগস্ট এর আগে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের নাম ভাংগিয়ে তুহিন মিয়া আমার কাছে ২ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। এখন ৫ ই আগস্ট এর পর বিএনপির নেতাদের নাম ভাঙ্গিয়ে আমাকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি প্রদান করে এবং চাঁদা দাবি করে।

তিনি আরো বলেন গত ০২ ডিসেম্বর সন্ধ্যা আনুমানিক সাত ঘটিকার সময় আমি আমার কর্মস্থল থেকে বাসায় ফেরার পথে অভিযুক্ত তুহিন মিয়া দলবল নিয়ে আমার পথ রোধ করে ২ লক্ষ টাকা দিতে বলে। আমি টাকা না দেওয়ায় তারা আমার ওপর চড়াও হয় এবং আমাকে মারধর করে ৪৫ হাজার ৪০০ টাকা জোরপূর্বক ছিনিয়ে নিয়ে যায়। আমি এবং আমার পরিবার তুহিন বাহিনীর ভয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমি ও আমার পরিবার বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত তুহিন মিয়ার মুঠোফোনের কল করা হলে তিনি কলটি রিসিভ করে কেটে দেয়।

ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে আশুলিয়া থানার এস আই মাসুদ রানা বলেন, উক্ত বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হইবে।