প্রেস ক্লাবের সামনে দাবি নিয়ে বসেছে বিভিন্ন সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের বঞ্চিতরা , বন্ধ যান চলাচল
জাগো জনতা অনলাইন।। চাকরি জাতীয়করণ, স্থায়ীকরণ, পুনর্বহাল, পরীক্ষা পদ্ধতি সংস্কারসহ নানা দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি ও বিক্ষোভ সমাবেশ করছেন বিভিন্ন সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের বঞ্চিতরা। যেন দাবির মেলায় পরিণত হয়েছে প্রেস ক্লাবের সামনের রাস্তা।
বন্ধ হয়ে গেছে যান চলাচল।
রোববার (২৫ আগস্ট) সকাল থেকে বাংলাদেশ আনসার, বাংলাদেশ স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা শিক্ষক সমিতি, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন কমিউনিটি ক্লিনিকের মাল্টিপারপাস হেলথ ভলান্টিয়ার, শিক্ষানবিশ আইনজীবী ও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি কাম প্রহরীরা নানা দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি ও বিক্ষোভ সমাবেশ করছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, আনসাররা জাতীয়করণের দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাব থেকে কদম ফোয়ারা মোড় পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন। কদম ফোয়ারা মোড়ে তারা ব্যারিকেড দিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছেন।
প্রেস ক্লাবের গেটের সামনে মানববন্ধন করছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন কমিউনিটি ক্লিনিকের মাল্টিপারপাস হেলথ ভলান্টিয়াররা। তাদের দাবি, এসএইচভিদের চাকরি পুর্নবহাল ও স্থায়ীকরণ, ভাতা বিলুপ্ত করে বেতন ও উৎসব ভাতা প্রদান, সিভিএইচসি কর্তৃক এমএইচভি সংক্রান্ত কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণার নোটিশ প্রত্যাহার।
একই স্থানে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মতো স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসাগুলোর জাতীয়করণের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করতে দেখা যায় বাংলাদেশ স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসা শিক্ষক সমিতির সদস্যদের।
জাতীকরণের দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাব ও সচিবালয়ের মাঝে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি কাম প্রহরীরা। তারা পল্টন থেকে প্রেসক্লাব অভিমুখী সড়ক বন্ধ করে রেখেছেন।
এ ছাড়া শিক্ষানবিশ আইনজীবীদেরও পাঁচ দাবিতে মানববন্ধন করতে দেখা যায়। তাদের দাবিগুলো হলো- বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের আইনজীবী তালিকাভুক্তকরণের পরীক্ষা পদ্ধতি সংস্কার, প্রতি বছর কমপক্ষে দুটি পরীক্ষা নেওয়া, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের এমসিকিউ পরীক্ষায় পাস নম্বর ৪০ করা, আইনজীবী তালিকাভুক্ত পরীক্ষা বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের অধীনে নেওয়া। বাংলাদেশ বৈষম্যবিরোধী শিক্ষানবিশ আইনজীবী ও ছাত্র ঐক্য পরিষদের ব্যানারে তারা এসব দাবি জানান।
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এসব সংগঠনের অবস্থানের কারণে সড়কের দুই পাশেই যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন এই রুট দিয়ে চলাচলকারী যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকরা। অনেককে এই বিষয়ে ক্ষোভও প্রকাশ করতে দেখা গেছে। ভুক্তভোগীদের ভাষ্য, এতদিন কেউ কোনো দাবি জানায়নি। এখন সুযোগ পেয়ে যে যার মতো রাস্তা বন্ধ করে দাবি জানাচ্ছে। অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত সড়ক খালি করে সাধারণ মানুষের চলাচল নির্বিঘ্ন করা।