ঢাকা | নভেম্বর ২৪, ২০২৪ - ৭:২৬ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম

সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকে মিয়ানমারে ৪০ ত্রাণকর্মী হত্যার শিকার: জাতিসংঘ

  • আপডেট: Friday, July 7, 2023 - 2:00 pm

মো: খায়রুল আলম খান: মিয়ানমারে ২০২১ সালে সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকে এ বছর পর্যন্ত ৪০ জন ত্রাণ সহায়তাকর্মী হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন।

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক সংস্থার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সংস্থার হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক বলেন, “জান্তা সরকার ও বিরোধীদের মধ্যকার সংঘাতের সময় ত্রাণ সহায়তাকর্মীদের ওপর ‘সরাসরি আক্রমণ’ করা হয়েছে। তিনি জানান, এসব কর্মীরা প্রধানত স্থানীয় সংস্থাগুলোর হয়ে কাজ করতেন।”

তিনি বলেন, “এসব  হত্যাকাণ্ড হয়েছে ‘ইচ্ছাকৃতভাবে ও লক্ষ্যবস্তু বানিয়ে’, যাতে ত্রাণ সহায়তায় বাধা দেওয়া যায় এবং ‘কতসংখ্যক মানুষ মৌলিক অধিকার ও স্বাধীনতা থেকে বঞ্চিত রয়েছেন, সে হিসাব আড়ালে রাখা যায়।”

জাতিসংঘ ইতিমধ্যে সতর্ক করে বলেছে, মানবিক সহায়তায় বাধা দেওয়া বা প্রত্যাখ্যান করা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ও মানবিক আইনের গুরুতর লঙ্ঘন হতে পারে।

তুর্কের প্রতিবেদন মতে, জান্তা সরকার দেশটিতে কয়েক হাজার বেসামরিক নাগরিককে হত্যা ও আহত করেছে। এ সময় জান্তারা তাঁদের জীবনের বাঁচিয়ে রাখার উপকরণ যেমন—খাদ্য, ঘর, স্বাস্থ্যকেন্দ্র প্রভৃতি ধ্বংস করেছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, অভ্যুত্থান–পরবর্তী সংঘাতে দেশটিতে আনুমানিক ১৫ লাখ মানুষ অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুতের শিকার ও ৬০ হাজারের মতো বেসামরিক স্থাপনা পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। মিয়ানমারের মোট জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশ তথা ১ কোটি ৭৬ লাখের বেশি লোকের কোনো না কোনো মানবিক সহায়তা প্রয়োজন।

প্রতিবেদনে তুর্ক বলেন, “বিশ্বাসযোগ্য সূত্রগুলো ইঙ্গিত দেয় যে সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকে গতকাল বুধবার পর্যন্ত ৩ হাজার ৭৪৭ জন মানুষ নিহত ও ২৩ হাজার ৭৪৭ জন গ্রেপ্তার হয়েছেন। তবে প্রকৃত সংখ্যা আরও অনেক বেশি। কারণ, এসব সংখ্যা শুধুমাত্র নথিভুক্ত তথ্য থেকে জোগাড় করা হয়েছে।”

জুন মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মিয়ানমারের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ও সরকারি নিয়ন্ত্রিত দুই ব্যাংকের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করেছে।