ঢাকা | ডিসেম্বর ৫, ২০২৫ - ১২:৩৫ অপরাহ্ন

খেলাপি ৩৮ কোটি টাকা পরিশোধে মান্নাকে ইসলামী ব্যাংকের নোটিশ

  • আপডেট: Friday, December 5, 2025 - 11:11 am

বগুড়া প্রতিনিধি।। মাহমুদুর রহমান মান্না এবং তার অংশীদার ও আওয়ামী লীগ নেতা এবিএম নাজমুল কাদির শাজাহান চৌধুরীকে ঋণ পরিশোধে কল ব্যাক নোটিশ দিয়েছে ইসলামী ব্যাংকের বগুড়া জেলার বড়গোলা শাখা।

আফাকু কোল্ড স্টোরেজ লিমিটেডের নামে খেলাপি ৩৮ কোটি ৪ লাখ ৭৬ হাজার টাকা পরিশোধে বুধবার (৪ ডিসেম্বর) ইসলামী ব্যাংক বগুড়া শাখা প্রধান মো. তৌহিদ রেজা স্বাক্ষরিত এ নোটিশ জারি করা হয়। আগামী ১৮ ডিসেম্বরের মধ্যে বকেয়া পরিশোধ না করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানানো হয়।

উল্লেখ্য, নাজমুল কাদির জুলাই গণহত্যার ৯ মামলার পলাতক আসামি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি।

স্থানীয় রাজনৈতিক মহলে অভিযোগ উঠেছে, যেই আওয়ামী লীগকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন সমালোচনা করে আসছেন মাহমুদুর রহমান মান্না, ঠিক সেই দলেরই এক প্রভাবশালী নেতার সঙ্গে তিনি ব্যবসায় যুক্ত। ওই আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গণহত্যার জন্য ৯ টি মামলা বগুড়া সদর ও শিবগঞ্জ থানায় রয়েছে। এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে বগুড়া ২ শিবগঞ্জ নির্বাচনী এলাকাতেও।

ইসলামী ব্যাংকের চিঠিতে বলা হয়েছে, আফাকু কোল্ড স্টোরেজ একটি লাভজনক প্রতিষ্ঠান হওয়া সত্ত্বেও মান্না ইচ্ছাকৃতভাবে ঋণ পরিশোধ করেননি। বারবার নোটিশ করা হলেও টাকা পরিশোধের কোনো চেষ্টাও করেননি মান্না।

ব্যাংকের নোটিশ অনুযায়ী, ২০১০ সালে ২২ কোটি টাকার বিনিয়োগ অনুমোদন করা হলেও, মুনাফা, চার্জ ও জরিমানা পরিশোধ না করায় বর্তমানে বকেয়া দাঁড়িয়েছে ৩৮ কোটি ৪ লাখ ৭৬ হাজার টাকা।

ইসলামী ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, চলতি বছর ১৮ ডিসেম্বরের মধ্যে বকেয়া পরিশোধ না হলে তারা আইনি ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, পুলিশের বিশেষ শাখার তথ্যমতে ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহজাহান চৌধুরী গত বছরের ১৯ আগস্ট যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়ে যান। অনেকের সন্দেহ, শাহজাহান চৌধুরীর মাধ্যমে আমেরিকায় এ টাকা পাচার করেছেন মাহমুদুর রহমান মান্না।

এদিকে, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-২ (শিবগঞ্জ) আসন থেকে সংসদ সদস্য পদে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না।

কিন্তু গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) এর ১৬ (ঠ) ধারায় বলা হয়েছে, কোন ঋণগ্রহীতা ঋণখেলাপি হলে তিনি নির্বাচনে অযোগ্য বিবেচিত হবেন। সেক্ষেত্রে আইন অনুযায়ী ঋণখেলাপি অবস্থায় মাহমুদুর রহমান মান্না আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না।