বন্দর ইজারা বিরোধে স্কপের অবরোধ সম্পন্ন, ৫ ডিসেম্বর মশাল মিছিলের ঘোষণা
চট্টগ্রাম ব্যুরো।।
নগরীর টোল প্লাজা গেট এবং বড়পোল এলাকায় শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদ (স্কপ) আহূত অবরোধ কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে। বুধবার (২৬ নভেম্বর) সকালে স্কপের নেতৃবৃন্দ দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে টোল প্লাজা ও বড়পোল—এই দুই পয়েন্টে অবরোধে নেতৃত্ব দেন।
টোল প্লাজা পয়েন্টে নেতৃত্ব দেন তপন দত্ত, কাজী শেখ নুরুল্লাহ বাহার, তসলিম হোসেন সেলিম এবং ইব্রাহীম খোকন।
অন্যদিকে বড়পোল পয়েন্টে নেতৃত্ব দেন এস কে খোদা তোতন, খোরশেদুল আলম, মছিউদ দৌলা, কাজী আনোয়ারুল হক হুনি, রিজওয়ানুর রহমান খান, ফজলুল কবির মিন্টু, নুরুল আবসার তৌহিদ, জাহিদ উদ্দিন শাহিন, আব্দুল বাতেন, অ্যাডভোকেট মো. শফিক উদ্দিন আবিদ, আবু বক্কর সিদ্দিকী, হাসিবুর রহমান বিপ্লব, মো. সোহাগসহ অন্যান্য নেতা-কর্মীরা।
বড়পোলের সমাবেশে সংহতি জানিয়ে যোগ দেয় বাম গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট। বামফ্রন্টের পক্ষ থেকে বক্তব্য দেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির প্রাক্তন সভাপতি কমরেড মোহাম্মদ শাহআলম, সিপিবি চট্টগ্রাম জেলার সভাপতি কমরেড অশোক সাহা, বাম গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের সমন্বয়ক শফিউদ্দিন কবির আবিদ, বাসদ চট্টগ্রাম জেলার ইনচার্জ আল আল কাদেরী জয় এবং গণমুক্তি ইউনিয়নের রাজা মিয়া।
সমাবেশে কমরেড মোহাম্মদ শাহআলম বলেন, “চট্টগ্রাম বন্দর বাংলাদেশের অর্থনীতির হৃদস্পন্দন। দেশের আমদানি–রপ্তানির সিংহভাগই সম্পন্ন হয় এই বন্দর দিয়ে। এনসিটিসহ বন্দর অবকাঠামোর যে কোনো অংশ ইজারা দেওয়া হলে জাতীয় অর্থনীতি, নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পড়বে। বন্দর রক্ষার আন্দোলন কেবল চট্টগ্রামবাসীর নয়—এটি সারাদেশের মানুষের উদ্বেগের বিষয়।” তিনি আগামী ৫ ডিসেম্বর সমাবেশ ও মশাল মিছিলের ঘোষণা দেন।
স্কপ নেতা তপন দত্ত বলেন, বন্দরকে ইজারা দেওয়ার পরিকল্পনায় দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব ক্ষুণ্ন হবে এবং শ্রমিকদের জীবিকার ওপর সরাসরি আঘাত আসবে। তাই দেশ বাঁচাতে এবং শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষার জন্য এই আন্দোলন শুরু হয়েছে এবং দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। দেশ রক্ষা এবং শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার রক্ষায় স্কপ সর্বদা ঐক্যবদ্ধ থাকবে।
কাজী নুরুল্লাহ বাহার বলেন, বন্দর ইজারা মানে দেশের অর্থনীতিকে বিদেশি স্বার্থের হাতে তুলে দেওয়া। আমরা স্পষ্টভাবে জানাতে চাই—এই সিদ্ধান্ত জনগণ মেনে নেবে না। শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদ জনগণের স্বার্থে রাস্তায় নেমেছে, প্রয়োজনে আরও কঠোর কর্মসূচি দেবে।
সমাবেশ শেষে স্কপ নেতৃবৃন্দ ঘোষণা দেন যে ৫ ডিসেম্বর পুরাতন রেলস্টেশন চত্বরে বৃহত্তর সমাবেশ ও মশাল মিছিল অনুষ্ঠিত হবে। বন্দর রক্ষার দাবিতে এই কর্মসূচিকে তারা জাতীয় আন্দোলনের অংশ হিসেবে উল্লেখ করেন।











