ঢাকা | ডিসেম্বর ৬, ২০২৪ - ৫:২১ পূর্বাহ্ন

ইইউ ও সুইজারল্যান্ডের সঙ্গে উড়োজাহাজ চলাচলে দুই চুক্তি

  • আপডেট: Friday, June 14, 2024 - 8:09 pm

জাগোজনতা অনলাইন : ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) এবং ইউরোপের দেশ সুইজারল্যান্ডের সঙ্গে উড়োজাহাজ চলাচলে দুটি দ্বিপক্ষীয় চুক্তি করেছে বাংলাদেশ। এই চুক্তির ফলে ইউরোপের আরও একটি দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের সরাসরি উড়োজাহাজ চলাচলের দ্বার উম্মোচিত হল।

চুক্তির অধীনে দুই দেশের মনোনীত এয়ারলাইন্সগুলো সপ্তাহে সাতটি যাত্রীবাহী এবং সাতটি কার্গো ফ্লাইট মিলে মোট ১৪টি ফ্লাইট পরিচালনা করতে পারবে।

গত ৪ জুন সুইজারল্যান্ডের বার্নে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) এবং সুইস ফেডারেল কাউন্সিলের মধ্যে একটি দ্বিপক্ষীয় উড়োজাহাজ চলাচল চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় বলে শুক্রবার (১৪ জুন) বেবিচকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
সেখানে বলা হয়, চুক্তিতে মনোনীত দুই দেশের এয়ারলাইন্সগুলো যাতে নিজেদের ও তৃতীয় কোনো দেশের এয়ারলাইন্সের সঙ্গে কোড শেয়ারের মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে ফ্লাইট পরিচালনা করতে পারে, সে সুযোগ রাখা হয়েছে।

বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোকাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল এই চুক্তি করার জন্য গত ২ জুন সুইজারল্যান্ড এবং পরে ৬ জুন বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে যান।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব রোকসিন্দা ফারহানা, বেবিচকের স্পেশাল ইন্সপেক্টর এস এম গোলাম রাব্বানীও ছিলেন প্রতিনিধি দলে।

কোড শেয়ারের জন্য সুইজারল্যান্ডের পক্ষ থেকে সুইস ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্স ও এডেলউইস এয়ার এজি এবং বাংলাদেশ পক্ষ হতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, নভেএয়ার এবং ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সকে দুই দেশের মধ্যে উড়োজাহাজ পরিষেবার জন্য মনোনীত করা হয়েছে।
কোড শেয়ারের ফলে যেসব গন্তব্যে সুইস এয়ারের ফ্লাইট আছে, সেসব গন্তব্যের টিকিট বিক্রি করতে পারবে বিমান, ইউএস বাংলা এবং নভোএয়ার।
একইভাবে সুইস এয়ারের টিকিট কেটেও যাত্রীরা বাংলাদেশের এসব এয়ারলাইন্সের গন্তব্যে যেতে পারবেন। তাদের আলাদা করে টিকিট করতে হবে না।
বেবিচকের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান এবং সুইস ফেডারেল অফিস অফ সিভিল এভিয়েশনের মহাপরিচালক ক্রিশ্চিয়ান হেগনার চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
এছাড়া ৭ জুন বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে বাংলাদেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে একটি দ্বিপক্ষীয় উড়োজাহাজ চলাচল চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
২০০৯ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর দুই পক্ষের মধ্যে প্রথম এই চুক্তিটি অনুস্বাক্ষরিত হয়েছিল। এরপর দুই পক্ষের নিজেদের মধ্যে প্রক্রিয়া সম্পন্ন শেষে চুক্তিটি চূড়ান্তভাবে স্বাক্ষরিত হল।
এ ধরনের চুক্তি ‘ইইউ হরাইজন্টাল চুক্তি’ নামে পরিচিত। ‘ব্রেক্সিট’ এর মাধ্যমে ইউরোপ থেকে বেরিয়ে যাওয়ায় চুক্তি থেকে যুক্তরাজ্যকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
এ চুক্তির মূল উদ্দেশ্য হল ইইউভুক্ত দেশগুলোর সঙ্গে বিমান চলাচল পরিচালনার ক্ষেত্রে একই ধরনের বিধি-বিধান প্রতিপালন নিশ্চিত করা।
ইইউয়ের সাথে বিমান চলাচল চুক্তিতে বাংলাদেশের পক্ষে স্বাক্ষর করেন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান এবং ইউরোপিয়ান কমিশনের ডাইরেক্টরেট জেনারেল ফর মবিলিটি অ্যান্ড ট্রান্সপোর্টের পরিচালক ফিলিপ কর্নেলিস।
সুইজারল্যান্ডে বাংলাদেশ মিশনের ডিপুটি পার্মানেন্ট রিপ্রেজেনটেটিভ ও শার্জ দি অ্যাফেয়ার্স সঞ্চিতা হক এবং বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে বাংলাদেশ দূতাবাস ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের বাংলাদেশ মিশনের রাষ্ট্রদূত ও হেড অফ দি মিশন মাহবুব হাসান সালেহ চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।