নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর কেরানীগঞ্জ এলকায় পাওনা টাকা চাওয়ায় এক প্রবাসীর স্ত্রীকে মারধর করে নগদ অর্থসহ স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী প্রবাসীর স্ত্রী হেলেনা বেগম প্রথমে কেরানিগঞ্জ
দক্ষিন থানায় সাধারণ ডায়রি করেণ।

আজ বুধবার (০৯ আগস্ট) চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিট্রেট মো: মোস্তাফিজুর রহমানের আমলী আদালত ১ এ মামলা দায়ের করেন।

মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, বিগত ২০/৩/ ২০১৯ সালে বিবাদী বাবুল ও তার স্ত্রী সহিতুন্নেছা তাদের বড় ছেলে শাকিল কে সৌদি আরব পাঠানোর জন্য ৫ লক্ষ টাকা ধার নেন প্রবাসীর স্ত্রী হেলেনা বেগমের কাছ থেকে।
তিন মাস পর টাকা ফেরত দেওয়ার কথা থাকলেও আজও পাওনা টাকা ফেরত দেননি বিবাদীরা। হেলেনা বেগম পাওনা টাকা চাইলে দেই দিচ্ছি করে বিবাদী বাবুল ঘুরাঘুরি করেন।

টাকা চাওয়া নিয়ে কথাকাটি হলে গত ৩০ জুলাই কেরানিগঞ্জ দক্ষিণ থানাধীন আব্দুল্লাহ পুর মালিভিটা এলাকার ইদ্রিস ফকির বাড়িতে বিবাদী বাবুল মিয়া, তাঁর স্ত্রী সহিতুন্নেছা, তাঁর পুত্র কানা শান্ত ও একিন সহ অজ্ঞাত নামা ৬/৭ জন মিলে প্রবাসী আসগর আলীর স্ত্রী হেলেনা বেগম কে বেদর মারধর করে তাঁর গলায় থাকা ১ ভরি ওজনের স্বর্নের চেইন, আট আনা ওজনের ,কানের দুল ও চাবী দিয়ে আলমারী থেকে ৫ ভরি ওজনের স্বর্নাংকার ও নগদ ৭৫.০০০ পচাত্তর হাজার টাকা নিয়ে চলে যায়। এবং আইনের আশ্রয় নিলে ভুক্তভোগীর সন্তানদের প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করেন তাঁরা।

এ ব্যাপারে কেরানীগঞ্জ দক্ষিন থানায় ভুক্তভোগী হেলেনা বেগম মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা না নিয়ে জিডি নিয়ে বিদায় করে দেন। পরে আজ ৯ই আগস্ট হেলেনা বেগম বাদী হয়ে বাবুলও তার স্ত্রী সহিতুন্নেছা ও তার দুই ছেলে কানা শান্ত ও একিন সহ অজ্ঞাত ৬/৭ জন কে বিবাদী করে মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলা আমলে নিয়ে তদন্তের জন্য পিবিআই কে প্রেরন করেছেন।