ঢাকা | সেপ্টেম্বর ২০, ২০২৪ - ১২:৫৯ অপরাহ্ন

শিরোনাম

বিডিআর বিদ্রোহ: শেখ হাসিনাসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা

  • আপডেট: Monday, August 26, 2024 - 6:02 am

জাগো জনতা অনলাইন।। ২০০৯ সালে বাংলাদেশ রাইফেলসের (বিডিআর) সদর দপ্তর পিলখানায় বিদ্রোহের ঘটনায় মামলার আসামি বিডিআরের উপ-সহকারী পরিচালক (ডিএডি) বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুর রহিমের কারাগারে মৃত্যুর ঘটনায় তৎকালীন সরকার প্রধান শেখ হাসিনাসহ ১৩ জনের নামে হত্যা মামলার আবেদন করা হয়েছে।

রোববার (২৫ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আক্তারুজ্জামানের আদালতে মৃত আব্দুর রহিমের ছেলে অ্যাডভোকেট আব্দুল আজিজ এই মামলার আবেদন করেন।

এসময় আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে আদেশ অপেক্ষমাণ রেখেছেন।

মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক বিজিবি মহা-পরিচালক ও সাবেক সেনাপ্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আজিজ আহমেদ এবং পিলখানা বিদ্রোহ মামলায় রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী মোশারফ হোসেন কাজলসহ ১৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলায় অন্য আসামিরা হলেন— সাবেক কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আশরাফুল ইসলাম খান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, সংসদ সদস্য শেখ সেলিম, নুর আলম চৌধুরী লিটন, শেখ হেলাল, জাহাঙ্গীর কবির নানক, মির্জা আজম, হাসানুল হক ইনু ও ২০১০ সালের জুলাইয়ে কেন্দ্রীয় কারাগারের তৎকালীন জেল সুপার এবং চিকিৎসক ডা. রফিকুল ইসলাম।

বাদী অভিযোগ করেন, তার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহিম ডিএডি হিসেবে পিলখানায় কর্মরত ছিলেন। তাকেও বিডিআর বিদ্রোহের মামলায় আসামি করে আটক করা হয়।

তিনি আরও অভিযোগ করেন, তার বাবা আব্দুর রহিমকে ২৫ ফেব্রুয়ারি পিলখানার মধ্যে হত্যার চেষ্টা করে কয়েকজন। কিন্তু সাধারণ সৈনিকেরা তার বাবাকে ভালোবাসতেন বিধায় তারা তাকে রক্ষা করেন। ২০০৯ সালের জুলাই মাসে কোনো একদিন ডিএডি আব্দুর রহিমকে পিলখানার ঢাকা সেক্টরের দ্বিতীয় তলায় নিয়ে জেনারেল আজিজ ও আইনজীবী মোশারফ হোসেন কাজলসহ আরও কয়েকজন পিলখানার ঘটনার রাজসাক্ষী হতে বলেন। তাকে বিভিন্ন ধরনের প্রলোভন দেখিয়ে রাজসাক্ষী হয়ে মিথ্যা সাক্ষ্য দিতে বলেন।

বাদীর বাবা রাজি না হওয়ায় তাকে বিডিআর বিদ্রোহের মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে রিমান্ডে নেয়া হয়। রিমান্ড শেষে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। পরে ২০১০ সালের ২৯ জুলাই ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বাদীর বাবার শরীরে ইনজেকশন পুশ করার মাধ্যমে তাকে হত্যা করা হয়।