ঢাকা | নভেম্বর ২৪, ২০২৪ - ১:০২ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম

সাংবাদিকদের ওপর মামলা ও হামলার প্রতিবাদে বিডিজেএ’র প্রতিবাদ সমাবেশ 

  • আপডেট: Saturday, May 4, 2024 - 11:59 am

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

সম্প্রতি বরগুনা জেলার পাথরঘাটায় সংবাদ প্রকাশের কারণে আলাদা ভাবে ৭ জন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে সাইবার নিরাপত্তা আইনে একাধিক মামলা ও পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলায় নাগরিক টেলিভিশনের প্রতিনিধির ওপর হামলার প্রতিবাদে রাজধানীতে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে বরিশাল ডিভিশনাল জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন ( বিডিজেএ)।

 

আজ শনিবার (৪ মে) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এ কর্মসূচীতে
সংগঠনের সভাপতি তারিকুল ইসলাম মাসুমের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মাহবুব সৈকতে সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের উভয়াংশের সভাপতি যথাক্রমে শহিদুল ইসলাম এবং নজরুল ইসলাম মিঠু (ভারপ্রাপ্ত ) ডিইউজেএ’র সাবেক সহ-সভাপতি মানিক লাল ঘোষ, ঢাকা রিপোর্টার ইউনিটির সাবেক সহ-সভাপতি আজমল হক হেলাল, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান খান, ডিইউজেএ’র
সাংগঠনিক সম্পাদক সাঈদ খান, ডিআরইউ’র সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ জামাল, টেলিভিশন ক্যামেরা জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন (টিসিএ) এর সভাপতি ফারুক হোসেন তানভীর, বিডিজের যুগ্ম- সাধারণ সম্পাদক সানবীর রূপল ও রাজু হামিদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুব জুয়েল, দফতর ও প্রচার সম্পাদক ফাহিম মোনায়েম, সদস্য ইউসুফ আলী বাচ্চু, সংহতি প্রকাশ করেন রংপুর বিভাগীয় সাংবাদিক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক গাউসুল আজম বিপু, ডিআরইউ’র সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মঈনুল আহসান, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের নির্বাহী পরিষদ সদস্য সাজেদা হক, ডিআরইউ নির্বাহী সদস্য মহিবুর রহমান, ঢাকাস্থ বরগুনা সাংবাদিক সমিতির সভাপতি আব্দুল খালেক লাভলু, বঙ্গবন্ধু সাংবাদিক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আবু সাইদ প্রমুখ।

এছাড়া ভুক্তভোগী সাংবাদিকদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন দৈনিক আজকের পত্রিকার প্রতিনিধি তারিকুল ইসলাম রাকিব।

এসময় বক্তরা পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় সাংবাদিক নির্যাতনের সঙ্গে যারা জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক বিচারের আহবান জানান। পাশাপাশি বরগুনায় সাংবাদিকের বিরুদ্ধে সাইবার নিরাপত্তা আইনের মামলা অবিলম্বের প্রত্যাহার করার দাবী করেন সাংবাদিক নেতারা। অন্যথায় সাংবাদিক সংগঠনগুলো মিলে বৃহত্তর কর্মসূচী দেয়ারও ঘোষনা করেন বক্তারা।

সভায় ঢাকা সংবাদিক ইউনিয়নের একাংশের সভাপতি শহিদুল ইসলাম বলেন, গতকাল একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। তাতে দেখা যায় মুক্ত গণমাধ্যম সূচকে দুই ধাপ পিছিয়েছে বাংলাদেশ । টানা ১৫ বছর এই সরকার ক্ষমতায় আছে । এই সময়ের মধ্যে সারাদেশে ৫৯ জন সাংবাদিক নিহত হয়েছে। শুধুমাত্র বিচারহীনতায়। তিনি বলেন, আমরা জানতে পেরেছি মঠবাড়িয়ার সাবেক এমপির মদদে নাগরিক টেলিভিশনের প্রতিনিধির ওপর হামলা হয়েছে। হামলাকারী যে হোক না কেন। তাকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
অপরাংশের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু বলেন, আমরা মুক্ত গণমাধ্যম দিবস পালন করছি। এরমধ্যে সারাদেশে সাংবাদিক নির্যাতন হচ্ছে। আমাদেরকে রাস্তায় দাড়াতে হচ্ছে। এতে কি প্রমাণ হয়। এদেশের গণমাধ্যম স্বাধীন নয়। সাংবাদিকরা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছে না। তিনি বলেন, শীর্ষ সাংবাদিক সংগঠনের এক নেতা বলেছেন, নির্যাতিত ওই সাংবাদিকদের নিয়োগপত্র আছে কিনা। আমি বলতে চাই তাদের নিয়োগপত্র আছে কিনা তা কি আপনার দেখার দায়িত্ব নেই। বাংলাদেশে যেখানেই সাংবাদিকদের ওপরে হামলা, মামলা হয় এর পেছনে পুলিশের ইন্ধন থাকে । এই হামলার বিচার না হওয়াতে বার বার সাংবাদিকরা নির্যাতনের শিকার হন।

তিনি আরো বলেন, কল্যাণ রাষ্ট্র গঠন করতে হলে স্বধীন সাংবাদিকতার কোন বিকল্প নেই।