ঢাকা | সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২৪ - ১০:২৬ অপরাহ্ন

ঝিনাইদহে ড্রাগন চাষে লাইট এনডোর্স পদ্ধতি, তিনগুণ বেড়েছে ফলন

  • আপডেট: Wednesday, February 7, 2024 - 3:33 pm
শেখ শোভন আহমেদ।।
ড্রাগন চাষে ‘লাইট ইনডোর্স পদ্ধতি’ ব্যবহারে ফলন বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ৩ গুণ। দেশে প্রথমবারের মতো এমন পদ্ধতিতে ড্রাগন চাষ স্থানীয়ভাবে বেশ প্রসংশিত হচ্ছে। আর ফসলের খেতে লাইটিংয়ের ফলে রাতের আধারে অপরূপ এক সৌন্দর্যের সৃষ্টি হয়। যা দেখতে প্রতিদিনই দূর-দূরান্ত থেকে দর্শনার্থীরা ভিড় করেন বাগানে।
ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ড উপজেলার চারাতলা গ্রামের কৃষক বিপ্লব জাহান নতুন এই পদ্ধতি সবার মাঝে পরিচিত করছেন । তিনি শুধু নামে বিপ্লব নয়, কাজেও বৈপ্লবিক পরিবর্তনের প্রমান দিয়ে ফেলেছেন । মাত্র ৩ বছর আগে চারাতলা গ্রামের মাঠের ১১ বিঘা জমিতে গড়ে তোলেন ড্রাগন বাগান । তাতে তিনি ড্রাগনের ফল আসার মৌসুমে ভালোই ফল পাচ্ছিলেন । এরপর তিনি চীন থেকে বিদ্যুত সাশ্রয়ী ২৮০০ এলইডি লাইট এনে লাইট ইনডোর্স পদ্ধতিতে চাষ শুরু করেন । যা অসময়ে স্বাস্থ্য সম্মত ড্রাগন ফল উৎপাদনে ব্যাপক ভূমিকা রাখছে ।
অন্যদিকে সন্ধ্যা নামার সঙ্গে লাইটগুলো জ্বলার পর অপরুপ সৌন্দর্যে রূপ নেয় । এমন ভিন্নতা দেখতে প্রতিদিন জড়ো হচ্ছে শতশত মানুষ । বৈচিত্রময় চোখধাঁধানো আলোকসজ্জায় গা ভাসাতে বিভিন্ন জেলা থেকেও আসছে দর্শনার্থী ।
দর্শনার্থী আহমেদ নুহায়েদ আনসারী তাজ জানান, এমন সৌন্দর্য সত্যিই আগে দেখিনি । শোনার পর চলে এসে দেখি যে কেউ অভিভূত হতেই হয় ।
বাগানের কর্মচারী মনিরুর ইসলাম জানান, যে সময় ড্রাগনের কোনো চাষ থাকে না সেই অসময়ে এমন উৎপাদন সত্যিই অভিনব ঘটনা । আমরা এখানে প্রায় ১৫ জন কাজ করি । রাতে একজন নাইট গার্ড বাগান পাহারা দেয়।
ঝিনাইদহ হরিণাকুণ্ড চারাতলা ড্রাগণ ফ্রুটস এন্ড
এগ্রোর প্রোপাইটার বিপ্লব জাহান জানান, ইউটিউব দেখে মুলত এ পদ্ধতির খবর জেনেছি । তারপর শুরু করে ব্যাপক ফলন পাচ্ছি । প্রাথমিকভাবে বড় অংকের টাকা লাগলেও লাভও ৩ গুণ । সন্ধ্যা থেকে রাত ১২টা ও রাত ৩টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত মোট ৯ঘন্টায় দুইদফা লাইটগুলো জ্বলে । শীতকালে দিন ছোট হয় তাই দিনের আলো কম হয় । ড্রাগন বেড়ে ওঠে মূলত দিনের আলোয়, তাই এ পদ্ধতিতে চাষ করলে রাতেও ড্রাগনের বেড়ে ওঠা স্বাভাবিক থাকে ।
তিনি আরো জানান, বিপ্লবের এই বাগানে ৩৩ হাজার ড্রাগনের গাছ রয়েছে । যা থেকে তিনি গতবছর বিক্রি করেছেন ৩০ লাখ টাকার ড্রাগন । দেশের কোথাও এখন ড্রাগন ফলের উৎপাদান না থাকলেও তার বাগানে থোকায় থোকায় ঝুলে আছে ড্রাগন ফল । যা নিয়মিত ৩৫০টাকা কেজি দরে বিক্রিও হচ্ছে । এ বছর ৫০ হাজার মেট্রিকটন ড্রাগন উৎপাদন হবে বলে তিনি জানান ।