ঢাকা | অক্টোবর ৬, ২০২৫ - ৫:২৭ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম

অনুমতি ছাড়া ব্যানার-সাইনবোর্ড টানানোর ব্যাপারে কঠোর নির্দেশনা চসিক মেয়রের

  • আপডেট: Sunday, October 5, 2025 - 6:41 pm

নিজস্ব প্রতিবেদক

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, শহরকে পরিচ্ছন্ন ও দৃষ্টিনন্দন রাখতে সবাইকে সচেতন হতে হবে। অনুমতি ছাড়া পোস্টার, ব্যানার বা সাইনবোর্ড টানালে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

রবিবার  দুপুরে নগরীর কাজীর দেওরি মোড়, চেরাগী পাহাড়, আন্দরকিল্লা, লালদিঘী ও চকবাজারসহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় পরিচালিত বেআইনি ব্যানার, পোস্টার ও সাইনবোর্ড উচ্ছেদ অভিযান পরিদর্শনকালে মেয়র এ সতর্কবার্তা দেন।

মেয়র বলেন, “ক্লিন সিটি গড়তে আমরা বদ্ধপরিকর। শহরের সৌন্দর্য নষ্ট করে এমন সব অবৈধ ব্যানার ও পোস্টার দ্রুত সরিয়ে ফেলতে হবে। কেউ বিজ্ঞাপন দিতে চাইলে সিটি কর্পোরেশনের অনুমতি নিয়ে করতে হবে।”

তিনি আরও বলেন, “আমি নিজেই প্রতি মাসে অন্তত একবার মাঠে নেমে এই ধরনের অভিযান পরিচালনা করি। কারণ এই শহর আমাদের সবার। যদি আমরা দায়িত্বশীল হই, কেউই শহরকে নোংরা রাখতে পারবে না। এসব ব্যানার সরানোর পর বোঝা যায়—চট্টগ্রাম কত সুন্দর হতে পারে।”

ডা. শাহাদাত উদাহরণ টেনে বলেন, “অনেক প্রতিষ্ঠান অনুমতি ছাড়াই অসংখ্য ব্যানার টানিয়েছে, যা অন্যদেরও উৎসাহিত করছে। আমরা চাই সবাই নিয়ম মেনে সিটি কর্পোরেশনের অনুমতি নিয়ে কাজ করুক।”

তিনি জানান, দুর্গাপূজা উপলক্ষে দেওয়া শুভেচ্ছা ব্যানারের জন্য নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত ছাড় দেওয়া হয়েছিল, তবে পূজা শেষে সেগুলো সরিয়ে ফেলতে হবে। “উৎসবের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা আছে, কিন্তু শহরের সৌন্দর্যের প্রশ্নে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না,” বলেন মেয়র।

মেয়র দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, “চট্টগ্রামের প্রায় ৮০ শতাংশ কোচিং সেন্টার কোনো অনুমতি ছাড়াই পোস্টার-ব্যানার লাগায়। এতে সিটি কর্পোরেশন বিপুল রাজস্ব হারাচ্ছে। অথচ প্রতি ব্যানারের জন্য মাত্র এক থেকে দুই হাজার টাকা কর দিলেই যথেষ্ট। সেই অর্থ দিয়েই আমরা শহরকে পরিচ্ছন্ন ও সবুজ রাখি।”

অভিযানকালে প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন ইখতিয়ার উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, উপ-প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা প্রণব কুমার শর্মা, ম্যালেরিয়া ও মশক নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা মো. শরফুল ইসলাম মাহি, মেয়রের একান্ত সহকারী মারুফুল হক চৌধুরী (মারুফ)সহ চসিকের পরিচ্ছন্ন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।