শনিবার সকালে শহরের সাধারণ পাঠাগারের সভাকক্ষে এ সভার আয়োজন করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা এস এম শফিকুল ইসলাম কানু (গেরিলা লিডার ’৭১)।
তিনি বলেন, গত ৫৪ বছরে দলীয়করণ, আত্মীয়করণ ও অবৈধ লেনদেনের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় লক্ষাধিক ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা তৈরি করা হয়েছে। এসব ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাকে তালিকা থেকে বাদ দেওয়া রাষ্ট্রের দায়িত্ব। বর্তমান আহ্বায়ক কমিটি জামুকাকে সহযোগিতা করবে।
তিনি আরো বলেন, আমরা উপজেলা ও ইউনিয়ন আহ্বায়ক কমিটি গঠন করব। শুধু রণাঙ্গনের প্রকৃত সশস্ত্র মুক্তিযোদ্ধারাই অন্তর্ভুক্ত হবেন। কোনো রাজনৈতিক দলের পদধারী কিংবা দলীয়করণের মাধ্যমে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা তৈরি বা সহযোগিতা করেছেন—তাঁরা কোনোভাবেই এ কমিটিতে স্থান পাবেন না।
সভায় বক্তব্য রাখেন, যুগ্ম আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল হক, সদস্য সচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ কাশেম এবং সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কুদ্দুস, মেহেরুজ্জামান, রশিদুল হক (হাতীবান্ধা), আবু বকর সিদ্দিক (কালীগঞ্জ) ও আব্দুল কাদের (আদিতমারী)।
আরো বক্তব্য দেন, লালমনিরহাট বার্তা পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক অধ্যক্ষ ড. এ এস এম মনওয়ারুল ইসলাম, সাংবাদিক আব্দুর রব সুজন, জাহাঙ্গীর আলম শহীন, মিলন পাটোয়ারি, হাসানুল আজিজ, তৈহিদুল ইসলাম লিটন, জি এস বাবু প্রমুখ।
উল্লেখ্য, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের আহ্বায়ক নঈম জাহাঙ্গীর ও সদস্য সচিব সাদেক আহমেদ খানের যৌথ স্বাক্ষরে গত ১ সেপ্টেম্বর বীর মুক্তিযোদ্ধা এস এম শফিকুল ইসলাম কানুকে আহ্বায়ক করে ১১ সদস্য বিশিষ্ট লালমনিরহাট জেলা ইউনিট কমান্ড অনুমোদন দেওয়া হয়।
অনুমোদিত কমিটিতে রয়েছেন—
যুগ্ম আহ্বায়ক: বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল হক,
সদস্য সচিব: বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ কাশেম,
সদস্য: বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তাফিজুর রহমান, আব্দুল কুদ্দুস, মেহেরুজ্জামান, নজরুল ইসলাম (পাটগ্রাম), রশিদুল হক (হাতীবান্ধা), আবু বকর সিদ্দিক (কালীগঞ্জ), আব্দুল কাদের (আদিতমারী) ও সৈয়দ বজলুর রশিদ (লালমনিরহাট সদর)।