জাকসু নির্বাচন: এবার শহীদ তাজউদ্দীন হলে প্রায় আধাঘণ্টা ভোট গ্রহণ বন্ধ

জাগো জনতা অনলাইন।। ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা না থাকা এবং ভোট দেওয়া শেষে আঙুলের মধ্যে কোনো ধরনের কালির চিহ্ন না রাখায় ভোটার ও প্রার্থীদের প্রতিবাদে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসংসদ নির্বাচনের শহীদ তাজউদ্দীন হলে প্রায় আধাঘণ্টা ভোট গ্রহণ বন্ধ ছিল। পরে ছবিসহ ভোটার তালিকা সংযুক্ত করার পর আবার ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। তবে এ পর্যন্ত কাস্ট হওয়া ১৫৩টি ভোট আবার যাচাইয়ের আশ্বাস দিয়েছেন নির্বাচন কমিশন। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে জাকসু নির্বাচনে এ ঘটনা ঘটে।
প্রাণীবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আলমগীর রুবেল বলেন, শিক্ষার্থীদের ইনডেক্স কার্ডের মধ্যে ছবি থাকবে কিন্তু এটি পরিবর্তন করা যায়। এক্ষেত্রে ছবি পরিবর্তন করে একজনের ভোট আরেকজন দেয়ার সুযোগ থাকে। নির্বাচন কমিশন থেকে প্রত্যেক হলে ছবিসহ ভোটার তালিকা দেয়া হয়েছিল। কিন্তু এই হলে ছবি ছাড়াই ভোটার তালিকা করা হয়। আবার সকাল থেকে ১৫৩টি ভোট কাস্ট হলেও ভোট দেয়ার পরেও কারও হাতে কালি দিয়ে চিহ্ন দেওয়া হয়নি। এতে জাল ভোট দিলেও সেটি চিহ্নিত করার কোনো সুযোগ নেই।
কেন্দ্রীয় নির্বাচন মনিটরিং কমিটির সদস্য সালেহ আহম্মদ বলেন, ‘১৫৩ জন ভোটারের ক্ষেত্রে অসঙ্গতি পাওয়া গেছে৷ তাদের আঙ্গুলে মার্কারের কালি দেওয়া হয়নি, ভোটার তালিকায় ছবি ছিল না৷ আমরা সেগুলো আলাদা করে রেখেছি, পরবর্তীতে ভেরিফাই করবো৷’ তবে রিটার্নিং অফিসার ড. আলমগীর কবির বলেন, ‘আঙ্গুলে মার্কারের কালি ও ভোটার তালিকায় ছবি থাকাটা ঐচ্ছিক ছিল৷ নির্বাচন কমিশন এ ব্যাপারে কোনো নির্দেশনা দেয়নি৷ তবে ১৫৩ জনের ব্যাপারে যে অভিযোগ উঠেছে, আমরা তা ভেরিফাই করবো।
তাজউদ্দীন আহমদ হলের ভোটার ও কেন্দ্রীয় সংসদে শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক প্রার্থী সুকান্ত বর্মন বলেন, ভোটারদের হাতে যে মার্কারের কালো কালির দাগ দেওয়া, তা এ ভোটকেন্দ্রে দেওয়া হয়নি। এখানে ছবিযুক্ত ভোটার তালিকাও নেই। যার কারণে কে ভোটার, আসলে সেটা যাচাই করা যাচ্ছে না। এমনও হতে পারে যে, একজনের ভোট আরেকজন দিচ্ছে।