ঢাকা | জুলাই ২১, ২০২৫ - ৭:০২ পূর্বাহ্ন

বাংলাদেশ নির্মাণ শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত

  • আপডেট: Saturday, July 19, 2025 - 12:43 pm

নিজস্ব প্রতিবেদক।। আগে নিরাপত্তা পরে কাজ তাহলে বাঁচবে শ্রমিক সমাজ এই স্লোগান সামনে রেখে বাংলাদেশ নির্মাণ শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সভা-২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ শনিবার সকাল ১০টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের ওপেন হাউসে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এতে  সভাপতিত্ব করেন, বাংলাদেশ নির্মাণ শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আবুল হোসেন। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন, জাতীয় কারিগরি ও শিল্প শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসাইন।

প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল ও কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মো. আনোয়ার হোসেন, শ্রম সংস্থা কমিশনের চেয়ারম্যান সুলতান উদ্দিন আহমেদ, সাবেক প্রধান নির্বাহী জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এ বি এম খোরশেদ আলম।

অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন বাংলাদেশ নির্মাণ শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. শাহজান মিয়া,

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ নির্মাণ শ্রমিক ফেডারেশন কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ফারুকুজ্জামান ফারুক।

অনুষ্ঠানে প্রায় তিন শতাধিক নির্মাণ শ্রমিক উপস্থিত ছিলেন ও সারা বাংলাদেশের কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক
প্রমুখ।

এসময় সংগঠনের সভাপতি আবুল হোসেন ১২ দফা দাবি তুলে ধরেন।

দাবিগুলো -২০০৬ সালের শ্রমিক আইন অনুযায়ী কোনো শ্রমিক কর্মস্থলে আহত বা নিহত হলে, ২ লক্ষ থেকে আড়াই লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ ধার্য ছিলো, এখন কোনো শ্রমিক কর্মস্থলে আহত বা নিহত হলে, তাদের পরিবারের জন্য ক্ষতিপূরণ হিসাবে ১০-১৫ লক্ষ টাকা ধার্য করতে হবে।বাসস্থানের নিশ্চয়তা দিতে হবে।

নদী ভাঙ্গা দূর্যোগে শ্রমিকদের বাসস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে।প্রত্যেক শ্রমিকদের জন্য পেনশন স্কিম চালু করতে হবে।রেশন ব্যবস্থায় প্রতি শ্রমিককে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

বর্তমান দ্রব্যমূল্য বাজার হিসাবে শতকরা ৩০% কাজের মজুরী বাড়াতে হবে।

সরকারি শ্রমিকদের সাধারন ছুটি ৩৬৫ দিনের মধ্যে ১৬৫ দিন, প্রাইভেট কোম্পানির শ্রমিকের সাধারন ছুটি ১০৪ দিন।

এখানে সরকারি ও বেসরকারি দুই শ্রমিকই বছরে ২টি বোনাস পায়। আমরা নির্মাণ শ্রমিক হিসেবে কোনো সাধারন ছুটি পাইনা। তাই আমাদের বছরে ৫২ দিনের সাধারন ছুটির ব্যবস্থা করা হোক।

নির্মাণ শ্রমিক হিসেবে প্রায় সময় আমাদের রড, সিমেন্ট, রং সহ রাসায়নিক পদার্থ যুক্ত পণ্য দিয়ে কাজ করে দূর্ঘটনার শিকার হতে হয়। তখন আমরা সরকারি কোনো সহযোগিতা পাইনা। তাই আমাদের ফ্রি চিকিৎসার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।

চাঁদাবাজি বন্ধের নিশ্চয়তা দিতে হবে।

প্রতি শ্রমিকের নির্মাণ কর্মস্থলে সেফটি ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।

প্রবাসী নির্মাণ শ্রমিকদের বিদেশে যাতায়াত ব্যবস্থায় স্বল্প পরিমান খরচ নির্ধারন করতে হবে।

প্রবাসী শ্রমিক যারা কর্মস্থলে নির্যাতিত হচ্ছে তাদের সহযোগিতা দিয়ে সঠিক ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে।

প্রতি খাতের শ্রমিকদের মতো, নির্মাণ শ্রমিকদের জন্যও বাজেট তৈরি করে শিল্প খাত হিসেবে বাংলাদেশে নির্মাণ শ্রমিক ফেডারেশনকে যুক্ত করতে হবে।