সাংবাদিকতার মূল মন্ত্র হচ্ছে মিথ্যার সঙ্গে আপোস না করা: কাদের গনি চৌধুরী

জাগো জনতা ডেস্ক।।
বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী বলেছেন, সাংবাদিকতার তিনটি বড় শর্ত হচ্ছে সততা, নির্ভুলতা ও পক্ষপাতহীনতা। একজন সাংবাদিককে সত্য তুলে ধরতে হবে, কোনো অবস্থায় মিথ্যার সঙ্গে আপস করা চলবে না। সাংবাদিকতা হলো সত্য ও ন্যায়নিষ্ঠার প্রতীক, যেখানে সাদাকে সাদা এবং কালোকে কালো বলাই আসল দায়িত্ব।
বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে বাংলাদেশ সাংবাদিক উন্নয়ন সংস্থা আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের চেয়ারম্যান মানুনুর রশিদ সাইন এবং সঞ্চালনা করেন কামরুল ইসলাম। আলোচনায় অংশ নেন সিনিয়র সাংবাদিক বাছির জামাল, পেশাজীবী নেতা রফিকুল ইসলাম, আরাফাতুর রহমান আপেল, হাসান সরদার জুয়েল, কাজী মাহমুদুল হাসান প্রমুখ।
কাদের গনি চৌধুরী বলেন, সাংবাদিকতা রাষ্ট্রের অন্যতম ইন্দ্রিয়। এর মাধ্যমে একটি রাষ্ট্রের সঠিক চিত্র পাওয়া যায় এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠায় গণমাধ্যম পাহারাদারের ভূমিকা পালন করে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, আংশিক সত্য বা মিথ্যার সংমিশ্রণে সাংবাদিকতা হয় না। সৎ সাংবাদিকতা সত্যের আরাধনা করে, যেখানে ভয়-ভীতি কিংবা লোভ-লালসার ঊর্ধ্বে থেকে কাজ করতে হয়।
তিনি বলেন, সাংবাদিকতার মূল মন্ত্র হচ্ছে কোনো ক্ষেত্রে মিথ্যার সঙ্গে আপস না করা। সত্যের তরে দৈত্যের সঙ্গে লড়াই করাই প্রকৃত সাংবাদিকতার চ্যালেঞ্জ। তিনি আরও অভিযোগ করেন, বর্তমানে সাংবাদিকদের মধ্যে লড়াকু মানসিকতা কমে গেছে, দলীয় আনুগত্য ও অর্থলিপ্সা সাংবাদিকতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।
আলোচনায় তিনি সমসাময়িক গণমাধ্যম পরিস্থিতির সমালোচনা করে বলেন, অনেক প্রতিষ্ঠান এখন মালিকের ব্যবসা ও রাজনীতির স্বার্থে ব্যবহার হচ্ছে। কিছু পত্রিকা তথ্যসন্ত্রাস ও অপসাংবাদিকতার মাধ্যমে সমাজকে কলুষিত করছে। তিনি সতর্ক করে বলেন, যদি সাংবাদিকরা ভাড়াটে লোকের মতো পেশা ব্যবহার করেন তবে তা রাষ্ট্র ও সমাজের জন্য বিপদ ডেকে আনবে।
সাবেকদের সাহস ও সততার উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়ার মতো সম্পাদকরা সত্য প্রকাশে কখনো দ্বিধা করেননি। আজকের সাংবাদিকদের সেই আদর্শ ধারণ করতে হবে। তিনি আহ্বান জানান, সৎ ও বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার চর্চার মাধ্যমে সমাজ ও গণতন্ত্রকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য।