সোমবার বাগেরহাটের মোংলায় সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে এখনো চলছে এই কর্মসূচি। ফলে সড়ক ও নৌপথে সকল ধরণের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এছাড়া বন্ধ রয়েছে ইপিজেড, শিল্পকলকারখানা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, দোকানপাট, খেয়া ও ফেরী পারাপার। পাশাপাশি বন্ধ রয়েছে সড়ক পথে এ বন্দরের পণ্য পরিবহনও। আসন পুনবহালের দাবীতে মোংলা-খুলনা মহাসড়কের দিগরাজ ও কাটাখালীসহ বেশ কয়েকটি পয়েন্টে বেরিকেড দিয়ে চলছে সর্বদলীয় সর্বাত্মক শান্তিপূর্ণভাবে এই হরতাল।
হরতাল সফল করতে সকাল থেকেই রাস্তায় নেমে এসেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীসহ সাধারণ মানুষ। অবরোধে ফলে ভোর থেকেই দূরপাল্লার কোন গাড়ী ছেড়ে যায়নি। চলছেনা অভ্যন্তরীণ যানও।
হরতাল-অবরোধের অংশ হিসেবে বাগেরহাট কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ড, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে, খুলনা-ঢাকা মহাসড়কের দশানী, নওয়াপাড়া, কাটাখালি, মোল্লাহাট সেতু, বাগেরহাট-পিরোজপুর মহাসড়কের সাইনবোর্ড বাজার, ফয়লাসহ জেলার অন্তত ২০টি স্থানে গাড়ি, গাছের গুঁড়ি ও বেঞ্চ ফেলে অবরোধ করা হয়।
কর্মসূচিতে মোংলা পৌর যুবদল নেতা ঈমান হোসেন, উপজেলা শ্রমিক দলের আহবায়ক জামাল হোসেন, পৌর যুবদলের নেতা আলাউদ্দিন, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক সাব্বির হোসেন, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব নুরুদ্দিন টুটুল, পৌর যুবদলের নেতা মহসিন পাটোয়ারসহ সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটি নেতাকর্মী ও স্থানীয় অসাধারণ জনতা উপস্থিত ছিল।