শিশুকে অপহরণের পর গলা কেটে হত্যা, গ্রেপ্তার ১

ইউসুফ আলী খান।। ঢাকার শিল্পাঞ্চল সাভারের আশুলিয়ায় জীবন (১২) নামে এক শিশুকে অপহরণের পর গলাকেটে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার ২৪ ঘন্টার মধ্যেই ঘাতক রাব্বানী (১৯) কে গ্রেফতার এবং লাশ উদ্ধার করেছে আশুলিয়া থানা পুলিশ। উদ্ধার করা হয়েছে হত্যায় ব্যবহৃত ছুরি ও মোবাইল ফোন।
রোববার (১৩ জুলাই) দুপুর দেড়টায় আশুলিয়া থানায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ক্রাইম, অপস ও ট্রাফিক (উত্তর) আরাফাতুল ইসলাম। এর আগে শনিবার ১২ জুলাই রাতে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার ও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আশুলিয়ার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে অপহরণ ও হত্যার সাথে সরাসরি জড়িত রাব্বানীকে গ্রেফতার করা হয় এবং তার দেয়া তথ্যমতে জঙ্গল থেকে শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত জীবন আশুলিয়ার কাঠগড়া এলাকার মজিবর শেখের ছেলে।
গ্রেফতারকৃত রাব্বানী নওগাঁ জেলার মান্দা উপজেলার ছুতিপুর এলাকার মিলন মোল্লার ছেলে। সে আশুলিয়ার কাঠগড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতো।সে নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করতো বলে জানা যায়।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরাফাতুল ইসলাম জানান, গত ১০ জুলাই বিকেল ৪ টার দিকে আশুলিয়ার কাঠগড়া এলাকা থেকে অপহরণের শিকার হয় জীবন। পরে তার বাবার মুঠোফোনে মুক্তিপণ দাবী করে অপহরণকারী। পরের দিন ১১ জুলাই রাত ১১ টার দিকে জীবনের বাবা আশুলিয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগের ভিত্তিতে আশুলিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয় । মামলা নং ৩৮ তারিখ ১২ জুলাই ২০২৫। পরে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার এবং গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আশুলিয়ার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ঘাতক রাব্বানীকে গ্রেফতার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যমতে আশুলিয়ার কাঠগড়া গলাকাটা মোড় এলাকার একটি জঙ্গল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এসময় উদ্ধার করা হয় হত্যায় ব্যবহৃত ছুরি ও একটি মোবাইল ফোন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরো জানান, ধৃত আসামি রব্বানি মোল্লা ভিক্টিমের পিতাকে মুক্তিপনের জন্য কল দেওয়ার আগেই তাকে খুন করে। মুক্তিপনের উদ্দেশ্য হলো তাকে যাতে কেউ সন্দেহ না করে। মূলত মাদক সেবনের সময় মাদকের ভাগ নিয়ে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ধারালো চাকু দিয়ে দিয়ে তাকে খুন করে বলে প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছে গ্রেফতার রাব্বানী।
সংবাদ সম্মেলনে এসময় উপস্থিত ছিলেন, আশুলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল হাননান, ওসি অপারেশন সফিকুল ইসলাম সুমন সহ সাভার ও আশুলিয়ায় কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় কর্মরত সংবাদকর্মীরা।