ঢাকা | সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২৫ - ৯:৩৯ অপরাহ্ন

শিরোনাম

সামাজিক সমস্যা নিরসনে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা ও সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধে রাঙামাটিতে ইফা’র আলোচনা সভা

  • আপডেট: Monday, September 15, 2025 - 1:55 pm

রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি।।রাঙামাটিতে “সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা, সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধ ও সামাজিক সমস্যা নিরসন” শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় রাঙামাটি ইসলামিক ফাউন্ডেশন জেলা কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন রাঙামাটি ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপপরিচালক মুহাম্মদ ইকবাল বাহার চৌধুরী।

এসময় ইসলামিক ফাউন্ডেশন রাঙামাটি সদর উপজেলার ফিল্ড সুপারভাইজার পেয়ার আহমেদের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন— ইফা জেলা কার্যালয়ের ফিল্ড অফিসার খালেদ মোহাম্মদ শামছুল ইসলাম, কৃষি ও বন আবাসিক মসজিদের ইমাম মাওলানা আশহাদুল ইসলাম, ভেদভেদী রিসোর্স সেন্টারের সাধারণ কেয়ারটেকার মাওলানা মো. মিরাজ উদ্দিন, মডেল কেয়ারটেকার, সাধারণ কেয়ারটেকার, বিভিন্ন মসজিদের ইমাম-মুয়াজ্জিন এবং সকল শিক্ষক-শিক্ষিকা।

রাঙামাটি ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপপরিচালক মুহাম্মদ ইকবাল বাহার চৌধুরী ইমামদের উদ্দেশে বলেন, জুমার খুতবায় ভিত্তিহীন ও বাস্তবতাবিবর্জিত কথাবার্তা পরিহার করতে হবে। বরং জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও সমাজে সম্প্রীতির বার্তা পৌঁছে দিতে হবে। তিনি বলেন-

“দ্বিন ইসলাম হলো শান্তির ধর্ম। শান্তি প্রতিষ্ঠায় আমাদের প্রিয় নবী (সাঃ) সকল ধর্মের মানুষের প্রতি ছিলেন সহনশীল, আন্তরিক এবং মানবিকতার সাথে সুসম্পর্ক বজায় রেখে চলতে শিখিয়েছেন। আমরা সকলে রাসূল পাক (সাঃ)-এর এই নির্দেশ মোবারক অনুসরণ করে পার্বত্য জেলায় সকল সম্প্রদায়ের মানুষের সাথে ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে চলবো।”

তিনি আরও বলেন, “এ বিষয়ে সবচেয়ে প্রয়োজনীয় বিষয় হলো লেখাপড়া। ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক লাইব্রেরিতে সংরক্ষিত বিভিন্ন বই থেকে জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে ইসলামিক সৌন্দর্য সহজে মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে পারলে সমাজে সম্প্রীতি বৃদ্ধি পাবে। সমাজ পরিবর্তনের জন্য সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় আমাদেরকে বেশি বেশি জ্ঞান অর্জন করতে হবে। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বই ছাড়াও অন্যান্য লেখকের বই পড়তে হবে। তাহলেই সমাজে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে।”

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা ও সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধে চিহ্নিত কয়েকটি বিষয় উল্লেখ করে তিনি বলেন—

“মাদক ও তামাকের ব্যবহার, দুর্নীতি, সুদ ও ঘুষের কারবার, খাদ্যে ভেজাল, অবৈধ দখলদারিত্ব, টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, জালিয়াতি, ক্ষমতার অপব্যবহার, সম্পদ ও খাদ্যের অপব্যবহার, মজুতদারি, চোরাচালান, অধিক মুনাফাখোরি, অবৈধ সিন্ডিকেট, কিশোর গ্যাং, ইভটিজিং, চুরি-ডাকাতি, যৌতুক, বাল্যবিবাহ, নারী ও শিশু নির্যাতন, ধর্ষণ, দাম্পত্য কলহ, বিবাহবিচ্ছেদ, মাদকাসক্তি, আত্মহত্যার প্রবণতা, বেকারত্ব, হতাশাগ্রস্ততা, মদ, ইয়াবা, ফেনসিডিল কারবার, জুয়া খেলা, মোবাইল ও গেমস আসক্তি, গুজব, অপপ্রচার, পরিবেশের ক্ষতি—যেমন শব্দদূষণ, বায়ুদূষণ, যানজট ইত্যাদি।”

তিনি আরও বলেন, “সততা, সত্যবাদিতা, আমানতদারি, বিশ্বাস, খোদাভীরুতা, দেশপ্রেম, আইনের শাসন ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা—এসব বিষয়ে প্রতিটি জুমায় কোরআন-হাদিসের আলোকে ইসলামের সঠিক ব্যাখ্যা তুলে ধরা হলে ধীরে ধীরে সমাজ পরিবর্তন হয়ে যাবে।”