ঢাকা | ফেব্রুয়ারী ২২, ২০২৫ - ১০:০৫ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম

ফিশিংবোটসহ ১৯ বাংলাদেশি জেলেকে জোরপূর্বক নিয়ে গেল আরাকান আর্মি

  • আপডেট: Thursday, February 20, 2025 - 4:16 pm
এম এ হাসান, টেকনাফ: কক্সবাজারের টেকনাফে ফেরার পথে নাফনদী থেকে মাছ ধরার ৪টি নৌকাসহ ১৯ মাঝিমাল্লাকে মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি (এএ)। বৃহস্পতিবার সকাল-দুপুরে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ ঘোলারচর এবং  নাফনদী নাইক্ষ্যংদিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তার আএ গে গত ১০ ফেব্রুয়ারী নাফ নদের মোহনা থেকে ধরে নিয়ে যাওয়া চার বাংলাদেশি জেলেকে এখনও ছাড়েনি।
এসব তথ্য নিশ্চিত করে টেকনাফ কায়ুকখালী বোট মালিক সমিটির সভাপতি আবদুল জলিল বলেন, টেকনাফের ফেরার পথে আজকেও আমাদের ঘাটের মাছ ধরার দুটি ট্রলারসহ ৯ জন মাঝিমাল্লাকে ধরে নিয়ে গেছে মিয়ানমার আরাকান আর্মি। এর আগে ধরে নিয়ে যাওয়া ৬ জেলেকে এখনো ছেড়ে দেয়নি। তার উপর এ ধরনের ঘটনা মাছ ব্যসায়ীসহ জেলেদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এটি সমাধানে সরকারের সহযোগিতা কামনা করছি আমরা।
এছাড়া শাহপরীর দ্বীপ মাঝের পাড়ার দুটি নৌকাসহ ১০ মাঝিমাল্লাকে ধরে নিয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন শাহপরীর দ্বীপ মাঝের পাড়া নৌঘাটে সাধারন সম্পাদক আবদুল গফুর। তিনি বলেন, ‌তার ঘাটের দুটি নৌকার মো. কালাইয়া এবং জাফর আলমের মালিকাধীন নৌকা নিয়ে নাফনদীতে মাছ শিকারে যায়। এসময় মিয়ানমারের আরাকান আর্মি (এএ) সদস্য জেলেদের ধাওয়া করে তাদের ধরে নিয়ে যায়। এতে জেলেদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, জেলেদের ধরে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি এই মাত্র শুনেছি। এ ঘটনায় বিজিবির সাথে আলোচনা করে তাদের ফেরত আনার চেষ্টা চালানো হবে।
স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ী মো. তারেক উর রহমান বলেন, প্রায় সময় জেলেদের মিয়ানমারে ধরে নিয়ে ঘটনা ঘটছে। এতে আমরা খুব চিন্তিত। কেননা এটি সমাধান না হলে জেলেরা মাছ শিকারে যাবেনা। তাই এটি সমাধান না হলের জেলেদের মাঝে আবারও হতাশা দেখা যাবে। এর আগে গত বছর ৬ অক্টোবর সকালে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ জেটিঘাট থেকে ৬টি মাছ ধরার ট্রলারসহ ৫৮ জেলে গভীর সাগরে মাছ ধরতে যান। তাদের ৯ অক্টোবর অপহরণ করে সে দেশের নৌবাহিনী। এ সময় মিয়ানমার নৌবাহিনীর টহলরত একটি স্পিড বোট থেকে বাংলাদেশি একটি ট্রলারকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। তাতে তিন জেলে গুলিবিদ্ধ হন। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় একজন ঘটনাস্থলে মারা যান। পরে জেলেদের ফেরত দেওয়া হয়। তখন এ বিষয়ে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে কঠোর প্রতিবাদ জানানো হয়েছিল।
এ ছাড়া ১৫ অক্টোবর মিয়ানমারের রাখাইনে অনুপ্রবেশ করা মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সংগঠন বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির হেফাজতে থাকা বাংলাদেশি ১৬ জেলেকে ফেরত এনেছিল বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।