ঢাকা | ডিসেম্বর ২০, ২০২৫ - ৭:২৬ অপরাহ্ন

শিরোনাম

কাপ্তাই হ্রদের পানি না কমায় বিপাকে পড়েছে নিম্ন আয়ের কৃষক

  • আপডেট: Saturday, December 20, 2025 - 5:49 pm

মো. গোলামুর রহমান, লংগদু (রাঙামাটি)।
সঠিক সময়ে কাপ্তাই হ্রদের পানি না কমায় বিপাকে পড়েছে নিম্ন আয়ের হাজারো কৃষক। জলে ভাসা কৃষি জমিগুলো পানিতে ডুবে থাকায় যথাসময়ে বোরো ধানের আবাদ করতে না পেরে হতাশ লংগদু উপজেলার প্রায় ১৩ হাজারের অধিক কৃষক।

সরেজমিনে লংগদু উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, যে সকল জায়গায় পৌষ মাসে জলে ভাসা জমিগুলোতে বোরো ধানের আবাদ শুরু হতো, ওইসব জমিতে এখনো ভরপুর পানি ঢেউ খেলছে। এতে করে আগামী বছর খাদ্য সংকটে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে অত্র উপজেলার হাজারো পরিবারের।
লেকের ভাসমান জমিতে চাষ করা কৃষক আবুল হোসেন, আব্দুর রহিম, জাফরসহ অনেকেই বলেন, দীর্ঘ সময় ধরে এসব জমিতে ধানসহ মৌসুমি চাষাবাদ করে আসছি আমরা। কিন্তু এ বছর পানি না কমিয়ে কাপ্তাই বাঁধ বন্ধ করে রেখেছে সরকার, এতে করে আমার মতো হাজারো কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
উপজেলার ভাসান্যদম, বগাচতর, গুলশাখালী, কালাপাকুজ্জা, লংগদু সদর ইউনিয়ন ও মাইনী ইউনিয়নের জলে ভাসা জমির চাষীরা ইতোমধ্যে ধানের বীজ রোপণ করেছে। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে পুরো পানি না কমলে চাষাবাদ করতে পারবে না বলে জানান তারা।

লংগদু উপজেলা কৃষি অফিসের উদ্যান তত্ত্ববিদ রতন কার চৌধুরি বলেন, লংগদু উপজেলায় ৮ হাজার হেক্টর কৃষি জমি রয়েছে। তার মধ্যে সাড়ে ৬ হাজার হেক্টর কৃষি জমি জলে ভাসা। এখানে প্রায় সাড়ে ১৩ হাজারের অধিক কৃষক রয়েছে। এ বছর যে হারে পানি কমছে, এতে করে সঠিক সময়ে মৌসুমি ধান বা অন্যান্য ফসল করতে পারবে না কৃষকরা। তাই এ মাসের মধ্যে পানি কমালে কৃষকরা বাঁচবে।

এ বিষয়ে লংগদু উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহাঙ্গীর হোসাইন জানান, কৃষকদের কথা চিন্তা করে আমরা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে জেলা প্রশাসককে জানাবো, যাতে কৃষকদের কথা চিন্তা করে দ্রুত সময়ে কাপ্তাই বাঁধ দিয়ে পানি ছেড়ে দেওয়া হয়।

এই বিষয়ে পিডিবি’র ব্যবস্থাপক মাহমুদ হাসানের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি জানান, গত কিছুদিন আগে একটি মিটিং হয়েছিল, আগামী নির্বাচন পর্যন্ত পানি না কমানোর জন্য প্রস্তাব করা হয়েছে। কৃষি জমি তলিয়ে থাকলে কৃষকরা খাদ্য সংকটে পড়বে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, আসলে আমাদের লেভেলে পানি রাখার কথা, তার চাইতে আরও পাঁচ ফিট পানি কম আছে। হয়তো যারা জমি চাষ করছে, তারা লেকে চলে গেছেন। তবে পানি কমানো বা বাঁধের পানি ছেড়ে দেওয়ার কোনো কথা তিনি জানাননি।