ঢাকা | ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫ - ২:৩০ পূর্বাহ্ন

ওসমান হাদির মৃত্যুতে সারা দেশে কফিন মিছিলের ডাক

  • আপডেট: Thursday, December 18, 2025 - 11:53 pm

নিজস্ব প্রতিবেদক।। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম রূপকার, ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র এবং ‘জুলাই ঐক্য’-এর প্রভাবশালী সংগঠক শরীফ ওসমান হাদীর শাহাদাত বরণে দেশজুড়ে শোক ও ক্ষোভের আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। এই অকুতোভয় বিপ্লবীর মৃত্যুতে আগামীকাল শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সারা দেশে বিশেষ দোয়া এবং ‘কফিন মিছিল’-এর ডাক দিয়েছে জুলাই ঐক্য।

 

বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সংগঠক ইসরাফিল ফরাজী স্বাক্ষরিত এক জরুরি বিবৃতিতে এই কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়।

 

বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, শুক্রবার বাদ জুমা দেশের প্রতিটি মসজিদে ওসমান হাদীর আত্মার মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে। দোয়া শেষে সকল জেলা ও উপজেলা শহরে ‘কফিন মিছিল’ বের করা হবে। রাজধানীর শাহবাগসহ গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে এই কফিন মিছিলের মাধ্যমে ভারতীয় আধিপত্যবাদ এবং ঘাতকদের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানানো হবে।

 

জুলাই ঐক্যের কেন্দ্রীয় সংগঠক ইসরাফিল ফরাজী তার বিবৃতিতে ওসমান হাদীকে ‘জুলাইয়ের অস্তিত্ব’ হিসেবে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, শহীদ ওসমান বিন হাদী আমাদের বিপ্লবের স্পন্দন। ভারতীয় আধিপত্যবাদের মোকাবিলায় তিনি ছিলেন এক আপসহীন কণ্ঠস্বর। তার শরীরের প্রতি ফোঁটা রক্তের বদলা বাংলাদেশের মাটিতেই নেওয়া হবে ইনশাআল্লাহ। আমরা খুনি ও তাদের মদতদাতাদের ছেড়ে দেব না।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আমাদের প্রিয় বিপ্লবী ওসমান বিন হাদীকে আল্লাহ শহীদ হিসেবে কবুল করেছেন। আমরা দেশের সকল বিপ্লবী জনতাকে এই শোকের মুহূর্তে ধৈর্য ধারণ করে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।

 

গত ১২ ডিসেম্বর রাজধানীর মতিঝিলে নির্বাচনী প্রচারণা শেষে ফেরার পথে এক পরিকল্পিত হামলায় গুলিবিদ্ধ হন ওসমান হাদী। প্রথমে ঢাকা মেডিকেল এবং পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়েছিল। আজ বৃহস্পতিবার রাতে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও শাহবাগ এলাকায় হাজার হাজার মানুষ জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেছেন।

 

বিক্ষোভকারীদের দাবি, ওসমান হাদীর ওপর এই হামলা ছিল বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের ওপর আঘাত। খুনিরা গ্রেপ্তার না হওয়া পর্যন্ত এবং তাদের নেপথ্যের কুশীলবদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত রাজপথ না ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছে ইনকিলাব মঞ্চ ও জুলাই ঐক্য।