এসময় উপস্থিত ছিলেন, মোংলা উপজেলা বিএনপি নেতা শেখ রুস্তুম আলী, জেলা যুবদলের সাবেক ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক সুব্রত মজুমদার, বাগেরহাট জেলা আরাফাত রহমান কোকো ক্রীড়া সংসদের সহ-সভাপতি মহসিন পাটোয়ারী, আরাফাত রহমান কোকো ক্রীড়া সংসদের মোংলা উপজেলা সভাপতি মো. শাহ আলম শেখ, সাধারন সম্পাদক মেহেদি হাসান সবুজ, পৌর সভাপতি মো. সেলিম হাওলাদার, পৌর সাধারণ সম্পাদক মো. সোহেল হাওলাদার, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. বাহাদুর মজুমদার, পৌর তাতী দলের সদস্য সচিব মো. সোহাগ, সুন্দরবন ইউনিয়নের সভাপতি শাহ জালাল ফরাজি, শহীদ জিয়া স্মৃতি সংসদের সভাপতি খান জাহান আলী, মিঠাখালী ইউনিয়ন যুবদল নেতা মো. শাহ আলম শিপন, ১ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আল আমিন মোড়ল প্রমুখ।
এসময় বক্তারা বলেন, আরাফাত রহমান কোকোর জন্ম হয়েছিল বাংলাদেশের উন্নয়নের জন্য, ক্রীড়াঙ্গনের উন্নয়নের জন্য। অতি অল্প সময়ের মধ্যে ক্রীড়াঙ্গনে বিভিন্ন কাজের মাধ্যমে আরাফাত রহমান কোকো নিজেকে স্মরণীয় করে রেখেছেন। দুর্ভাগ্য আমাদের এই অত্যন্ত মেধাবী ক্রীড়া সংগঠককে মঈন উদ্দিন-ফখরুদ্দিন সরকার নির্মমভাবে, অন্যায়ভাবে নির্যাতন করায় তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। সেই অসুস্থ অবস্থায় তিনি মারা গিয়েছেন। গোটা জাতি বিগত ১৭বছর শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতিতে ছিল। দেশের মানুষের ভোটাধিকার ও বাক-স্বাধীনতা হরণ করা হয়েছিল। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে স্বৈরাচার হাসিনা সরকারের বিদায় হয়েছে।
কোকো হত্যার বিচার বাংলার মাটিতেই হবে উল্লেখ করে বক্তারা আরো বলেন, দেশের মানুষ ফ্যাসিস্ট সরকার থেকে মুক্তি চেয়েছিল একটি গণতান্ত্রিক সরকারের জন্য। একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত আমাদের রক্তে ভেজা বিপ্লবকে সফল বলা যাবে না। দুই সহস্রাধিক শহীদের রক্তে অর্জিত বিপ্লবকে সফল করতে বিএনপি বদ্ধ পরিকর।
এ সময় দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা শেষে আরাফাত রহমান কোকোর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কমনায় ও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।