ঢাকা | ডিসেম্বর ৬, ২০২৪ - ৫:৩০ পূর্বাহ্ন

সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার উদ্দেশ্য গুজব ও মিথ্যাচার: ৫৬ ব্যাটালিয়ন

  • আপডেট: Wednesday, September 6, 2023 - 6:56 am

ঝুলন দত্ত, কাপ্তাই ( রাঙামাটি) প্রতিনিধি: বাংলদেশ সেনাবাহিনী দেশের ক্রান্তিকাল থেকে মহান মুক্তিযুদ্ধে অসীম অবদান রেখেছেন। তাদের এই ত্যাগ জাতীর কাছে চির অমর হয়ে থাকবে। সাম্প্রতিককালে পার্বত্য চট্রগ্রামে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করতে একটি মহল উঠে পড়ে লেগেছে। আগামি জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ পার্বত্য চট্রগ্রামে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে কিছু অনলাইন পোর্টালকে তাঁরা অপ্রচারে লিপ্ত করেছেন। আসলে তাদের মুল উদ্দেশ্য নিজ স্বার্থ হাসিল করা।

গতকাল মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কাপ্তাই অটল ৫৬ ব্যাটালিয়নের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি থেকে এসব জানা যায়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলের সশস্ত্র সংগঠনের সমর্থনকারী কিছু মিডিয়া রয়েছে। যারা প্রায়ই সেনাবাহিনীকে নিয়ে নানা রকম গুজব ও অপ্রচার চালিয়ে যায়। তাদের মূল উদ্দেশ্য পার্বত্য চট্রগ্রামের শান্তি বিনিষ্ট করা।

বিজ্ঞপ্তি থেকে আরও জানা যায়, কাপ্তাই উপজেলার রাইখালী ইউনিয়নের  মিতিংগাছড়ি আর্মি ক্যাম্পের ০৬ জন সাদা পোশাকধারী সেনা সদস্য কর্তৃক একজন মারমা মেয়েকে ধর্ষণ করা হয়েছে। অথচ বিষয়টি বানোয়াট এবং বিক্তিহীন। তাদের এই প্রণোদিত মিথ্যা বানোয়াট  অভিযোগ ও গুজব সংবাদ প্রচার করার জন্য
পার্বত্য  চট্টগ্রামের  আঞ্চলিক  সশস্ত্র সংগঠন সমর্থিত কিছু নিউজ পোর্টাল ও স্বার্থান্বেষী ফেসবুক পেইজ ব্যবহার করা হয়। যা অত্যান্ত দুঃখজনক।

এই বিষয়ে রাইখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মংক্য মারমা’র সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, মেয়েটি পরিবার স্থানীয় কারবারি  নিয়ে এসে চেয়ারম্যান অফিসে বলেন, একটি  স্বার্থান্বেষী মহল  বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করতেই এই ধরনের অভিযোগ উঠিয়েছে। এছাড়াও মারমা পরিবারটিকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য এই ধরনের মিথ্যা বানোয়াট  গুজব  প্রচার করছে।

চেয়ারম্যান আরও বলেন, মারমা পরিবারটি  স্থানীয় সকল সুশীল সমাজ ও আইন শৃংখলা বাহিনীর  নিকট  অনুরোধ করেন, ঘটনাটির সরেজমিনে সত্যতা জেনে যারা মিথ্যা গুজব অপ-প্রচার করছে তাদের বিরুদ্ধে যেন কঠোর ব্যবস্থা  গ্রহন করা হয়।

এই ব্যাপারে চন্দ্রঘোনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা  শফিউল আজম এর সাথে যোগাযোগ করা করা হলে তিনি জানান, রাইখালী ইউনিয়ন এলাকায় এই ধরনের কোন ঘটনা ঘটেনি।  তিনি বলেন, আঞ্চলিক সশস্ত্র সংগঠনগুলো আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিশেষ  উদ্দেশ্য  সাধনের জন্য পার্বত্য চট্টগ্রামে নিয়োজিত  আইন শৃংখলা বাহিনীর বিরুদ্ধে  মিথ্যাচার  ও গুজব  প্রচার করছে।

ওসি আরও বলেন, রাইখালী ইউনিয়নে মিতিংগাছড়ি নামে সেনা ক্যাম্প নেই। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়  মিতিয়াছড়ির কারবারী সাজাই ইউ মারমাসহ, স্থানীয়  মারমা সম্প্রদায়ের নেতাগণ সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে  মিথ্যা  গুজব  প্রচার করে সেনাবাহিনীর  ভাবমূর্তি বিনষ্টকারী  স্বার্থান্বেষী  আঞ্চলিক  তথাকথিত  কালো মিডিয়ার বিরুদ্ধে তীব্র  সমালোচনা  ও ঘৃণা  প্রকাশ করেন।

মারমা সম্প্রদায়ের  সদস্যরা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের  শান্তি  সম্প্রতি বিণষ্ট করার জন্য আঞ্চলিক  সশস্ত্র  সন্ত্রাসীদের একটি  মহল এই ধরনের  মিথ্যা গুজব  প্রচার করে সাধারণ  পাহাড়ি জনগোষ্ঠীদের মধ্যে  নেতিবাচক মনোভাব তৈরির হেন উদ্দেশ্য লিপ্ত  রয়েছে।