ভিন্ন পরিচয়ে আবার বাংলাদেশে আসছেন রাষ্টদূত পিটার হাস
জাগোজনতা প্রতিবেদন : ব্যাপক আলোচিত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতিক ঢাকায় নিযুক্ত সদ্য বিদায়ী রাষ্ট্রদূত পিটার হাস আবার আসছেন বাংলাদেশে।
তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) রপ্তানির মার্কিন বহুজাতিক কোম্পানি এক্সিলারেট এনার্জির স্ট্র্যাটেজিক উপদেষ্টা পদে যোগ দিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের ১৭তম এই সাবেক রাষ্ট্রদূত।
মার্কিন এই গ্যাস কোম্পানিটির ব্যবসা রয়েছে বাংলাদেশে। বাংলাদেশে এলএনজি সরবরাহের জন্য কক্সবাজারের মহেশখালীতে সমুদ্রে ভাসমান একটি টার্মিনালও আছে এক্সিলারেট এনার্জির।
প্রতিষ্ঠানটিও প্রত্যাশা করছে, বিভিন্ন দেশে কূটনীতিক হিসেবে কাজ করতে গিয়ে ভৌগলিক ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট এবং ব্যবসায়ীক বাজার সম্পর্কে তার যে অগাধ জানাশোনা আছে সেটা কাজে লাগানোর। বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি হিসেবে সেদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য প্রসারে কাজ করেছেন পিটার হাস। তার এই অভিজ্ঞতাই কাজে লাগাতে চায় এক্সিলারেট এনার্জি। সেই হিসেবে বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবসা বাড়াতে যেকোনো সময় বাংলাদেশে আসতে পারেন সাবেক এই কূটনীতিক।
নিজেদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে পিটার হাস যোগ দেওয়ার খবরটি জানিয়েছে এক্সিলারেট এনার্জি। বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠানটির আরও একটি টার্মিনাল নির্মাণের কথা রয়েছে তাদের। এছাড়া ২০২৬ সাল থেকে বাংলাদেশে এলএনজি সরবরাহে একটি চুক্তি করেছে এক্সিলারেট।
বিজ্ঞপ্তিতে এক্সিলারেট এনার্জির প্রেসিডেন্ট এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা স্টিভেন কোবোস বলেন, ‘কূটনৈতিক জীবনে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন পিটার হাস। ভূরাজনীতি ও বাজার সম্পর্কে তার ভালো ধারণা আছে। তার অভিজ্ঞতা ও নেতৃত্ব বিশ্বজুড়ে এক্সিলারেটের গ্রাহকের জ্বালানি নিরাপত্তায় ভূমিকা রাখবে।’
পিটার হাসের বরাতে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘মানুষের জীবনমান উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক অগ্রগতির লক্ষ্যে এক্সিলারেট এনার্জি অবদান রাখছে।
এক্সিলারেট এনার্জি যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের উডল্যান্ডে অবস্থিত বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ এলএনজি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান। এলএনজি সরবরাহের পাশাপাশি এলএনজি রূপান্তরের ভাসমান টার্মিনাল, অবকাঠামো উন্নয়নে কাজ করে তারা। বাংলাদেশ ছাড়াও আরব আমিরাত, যুক্তরাজ্য, ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুরসহ বেশি কিছু দেশে ব্যবসা রয়েছে তাদের।
বাংলাদেশের যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত হিসেবে ২০২২ সালের মার্চ থেকে গত এপ্রিল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন পিটার ডি হাস। ঢাকা মিশন শেষ করলেও এই পেশাদার কূটনৈতিক যুক্তরাষ্ট্রের ফরেন সার্ভিস থেকে অবসরে যান গত ২৭ সেপ্টেম্বর।