ঢাকা | অক্টোবর ১৬, ২০২৪ - ২:০৭ পূর্বাহ্ন

নারায়ণগঞ্জ হাইস্কুল এন্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মাহাবুবুর রহমান ও সাথী চক্রর্বতীর বহিষ্কারসহ শিক্ষার্থীদের ৯ দফা দাবী

  • আপডেট: Thursday, August 15, 2024 - 8:38 pm

আদরিনা মাহী।। চলমান আন্দোলনে বিরোধিতাসহ বিভিন্ন অভিযোগের কারণে নারায়ণগঞ্জ হাইস্কুল এন্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মাহবুবুর রহমান ও প্রভাতী শাখার ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সাথী চক্রবর্তীকে অপসারণের দাবী জানিয়েছে অভিভাবকসহ বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীরা।

এসময় তাঁরা ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মাহবুবুর রহমানের বিরুদ্ধে নিম্নে উল্লিখিত অভিযোগ এনে অব্যাহতিসহ বহিষ্কারের দাবী জানান।

অভিযোগগুলো
১। বৈষম বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যে সকল শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রী অংশগ্রহণ করেছেন, তাদের জাতীয় কুলাংগার বলে দাবী করা।

২। আন্দোলনরত সকল শিক্ষার্থীদের গুলি করে হত্যার হুমকি।

৩। কথায় কথায় শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের নিয়ে কটুক্তি করা।

অন্যদিকে প্রভাতী শাখার ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা সাথী চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে নিম্নলিখিত অভিযোগ আনেন শিক্ষার্থীরা।

অভিযোগ গুলো–
১। যে কোন বিষয় নিয়ে শিক্ষার্থীদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর প্রদান করা
২। অভিভাবকদের অপমান করা
৩। শিক্ষক হিসেবে তার মুখের ভাষা জঘন্য
৪। ছাত্রীদের পোশাক নিয়ে বাজে মন্তব্য করা
৫। ছাত্রীদের পুরুষ শিক্ষক নিয়ে বাজে মন্তব্য করা
৬। কোন কিছুই হলেই টিসি প্রদানের হুমকি
৭। ছাত্র-ছাত্রীদের চরিত্রহীনসহ জুতা দিয়ে পিটানোর হুমকি।

তাদের দুজনের বিরুদ্ধে এসকল অভিযোগ থাকার কারণে দুই শিক্ষককে অব্যাহতিসহ বহিষ্কার এবং ৯ দফা দাবী জানিয়েছে অভিভাবকসহ বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীরা।

দফাগুলো–
১। সমসাময়িক আন্দোলনের বিরুদ্ধে থাকায় এবং দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেওয়ায় প্রধান শিক্ষককে বহিষ্কার
২। কোটা ও রাজনৈতিকমুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
৩। চলমান কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা
৪। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মাহবুবুর রহমান এবং প্রভাতী শাখার ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা সাথী চক্রবর্তীসহ সহকারী শিক্ষক রাহিমকে অব্যাহতি সহ বহিষ্কার
৫। নির্বাচনের ভিত্তিতে কমিটি গঠন
৬। বিদ্যালয়ে স্বজনপ্রীতি বন্ধ
৭। ভর্তি বাণিজ্য মুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
৮। সমসাময়িক কোন প্রাক্তন শিক্ষার্থী দাতা সদস্য পথ বন্ধ
৯। চন্দন শীলের গভনিং বডির দায়িত্বপালন থেকে সকল হিসাব প্রদান

উল্লেখ্য, গত ৭ জুলাই প্রধান শিক্ষক, সহকারী প্রধান শিক্ষক, শিফট ইনচার্জ বহিষ্কার এবং কমিটি বাতিলসহ ১৩ দফা দাবী নিয়ে শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে কর্মসূচি পালন করে। এরপর বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ১২ জুলাই সব সমস্যার সমাধানের প্রতিশ্রুতি দিলে কর্মসূচি থেকে উঠে যায় সাধারণ শিক্ষার্থীরা। কিন্তু ১২ জুলাই দফার ফলাফল না দিয়ে ১৩ জুলাই প্রধান শিক্ষক শিক্ষার্থীদের জানান, এসকল বিষয়ে আমার কিছু করার নেই। এটা আমার হাতেও নেই। এটা সম্পুর্ন কমিটির বিষয়। এ ব্যাপারে তোমরা বাড়াবাড়ি করলে টিসি নানান হুমকির সম্মুখীন হয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

অন্যদিকে বিদ্যালয়ে ১৩ দফার কোন সুরাহা না পেয়ে গণস্বাক্ষরসহ নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কাজে লিখিত অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা।