ঢাকা | অক্টোবর ১৩, ২০২৪ - ৪:২০ অপরাহ্ন

শিরোনাম

আশুলিয়ায় পিতা-মাতাসহ শিশু সন্তানের গলাকাটা লাশ উদ্ধার

  • আপডেট: Saturday, September 30, 2023 - 6:56 pm

সিনিয়র রিপোর্টার।।

রাজধানী ঢাকার শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ার জামগড়া ফকির বাড়ী এলাকার একটি বহুতল ভবনের ৪র্থ তলা থেকে স্বামী-স্ত্রী ও তাদের ১২ বছরের ছেলের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে আশুলিয়া থানা পুলিশ। স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায় আনুমানিক ৩ দিন আগে তাদের হত্যা করা হয়েছে।

শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর)  রাতে জামগড়ার ফকির বাড়ি মোড় এলাকার মেহেদী হাসানের মালিকানাধীন ৬তলা ভবনের ৪র্থ তলার একটি ফ্ল্যাট থেকে নিহতদের উদ্ধার করা হয়।

নিহতরা হলেন ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জ থানার লোহাগড়া গ্রামের মৃত জহির উদ্দিনের ছেলে মুক্তার হোসেন (৫০), তার স্ত্রী শাহিদা বেগম (৪০) ও তাদের ছেলে মেহেদী হাসান জয় (১২)। শাহিদার গ্রামের বাড়ি রাজশাহী জেলায়। স্বামী-স্ত্রী দুজনেই আশুলিয়ায় পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার সন্ধ্যায় ফ্ল্যাট থেকে দুর্গন্ধ আসায় আশপাশের বাসিন্দাদের সন্দেহ হলে তারা দরজায় ধাক্কা দিয়ে ফ্ল্যাটের দরজা খোলা দেখতে পান । পরে ঘরের ভেতরে বিছানার ওপর মা ও ছেলের রক্তমাখা মরদেহ দেখতে পান তারা। বিষয়টি আশুলিয়া থানায় জানানো হলে পুলিশ এসে ওই ফ্ল্যাটের আরেক রুমে আরেকটি মরদেহ খুঁজে পায়। ধারণা করা হচ্ছে এটি স্বামীর মরদেহ।

বাড়ির ৬ তলার একটি ফ্ল্যাটের বাসিন্দা প্রত্যক্ষদর্শী দিলদার হোসেন বলেন, ‘আমি গার্মেন্টসে চাকরি করি। আজকে সন্ধ্যার পর বাসায় এসে দেখি বাসার সামনে প্রচণ্ড ভিড়। পরে শুনতে পাই ৪ তলায় একটি ফ্ল্যাটে নাকি ৩ জনকে খুন করে রেখে গেছে কেউ। পরে পুলিশ আসলো। যে ফ্ল্যাটের ঘটনা তাদের কাউকে আমি চিনি না।

মোক্তার হোসেনের দুলাভাই রহিমের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমি ঠাকুরগাঁওয়ে থাকি। অনেকেই ফোন করে খবর নিচ্ছে। কিন্তু আমি তো কিছুই জানি না। মোক্তার সম্পর্কে আমার শ্যালক হয়। আনুমানিক ৫-৭ বছর ধরে তারা ঢাকায় থাকে। আমি খোঁজ খবর নিয়ে দেখছি।

আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জোহাব আলী বলেন, স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে এসে বিছানার ওপর মা ও ছেলে দুজনের লাশ দেখতে পেয়েছি। পরে পাশের ঘর থেকে আরেকজনের লাশ পেয়েছি। প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে এটি স্বামীর লাশ। ঘরে প্রচণ্ড দুর্গন্ধ। আনুমানিক ৩ দিন আগে তাদের হত্যা করা হয়েছে। তদন্ত শেষে আসল ঘটনা জানা যাবে।