ঢাকা | ডিসেম্বর ৪, ২০২৪ - ৬:০৬ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম

আশুলিয়ায় কিশোর গ্যাং লিডারসহ গ্রেফতার ২

  • আপডেট: Saturday, October 19, 2024 - 3:29 pm

ইউসুফ আলী খান।।

ঢাকার শিল্পাঞ্চল সাভারের আশুলিয়ার গাজিরচট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে মেলার মাঠে এক কিশোরকে ছুরিকাঘাত করে ভুঁড়ি বের করে ফেলা ও ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করার অভিযোগে অভিযান চালিয়ে কিশোর গ্যাং লিডারসহ ২ জন-কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

শনিবার (১৯ অক্টোবর) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করে আশুলিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক কামাল হোসেন বলেন, গতকাল শুক্রবার রাতে গাজিরচট এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২ জন-কে আটক করা হয়েছে।

গ্রেফতার কৃতরা হলো: ঢাকা জেলার সাভার উপজেলার আশুলিয়া থানার গাজীরচট মুন্সি পাড়ার মোঃ অহিদুর রহমানের ছেলে কিশোর গ্যাং লিডার মো: আফজাল হোসেন (২৯) ও একই এলাকার তোফায়েল সরদার এর ছেলে মো: তাহসান মাহমুদ (১৯)।

উক্ত মামলায় অন্যান্য আসামিরা হলো গাজীরচট এলাকার কামরুল ইসলাম এর ছলে মো: মুন্না (২২), কান্দাইল এলাকার মিলন মিয়ার ছেলে রিয়াদ হাসান (২১), গাজীরচট মুন্সি পাড়ার জামাল মিয়ার ছেলে তামিম (১৮), নাজমুল (২১) সহ অজ্ঞাত নামা ৩০-৪০ জন।

এস আই শেখ মোঃ মাসুদ আল-মামুন এর কাছে মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন,আসামি’রা অস্ত্রশস্ত্রসহ চলাফেরা করে নিরীহ লোকজন-কে আট-কে ভয়ভীতি দেখিয়ে মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে নেয়। এলাকায় গত ৪ থেকে ৫ দিন ধরে মেলা চলছে। গাজিরচট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে । সেখানেই বাদির ছেলে সায়মন ইসলাম (১৭) মেলার ভেতর ঘুরাঘুরি করছিল। একপর্যায়ে সে সেখানে নৌকা ঘুরানো খেলা দেখছিল। এ সময় আসামীরা সায়মনকে ঘিরে ধরে তার কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। সায়মন তাদের-কে কীসের চাঁদা জিজ্ঞেস করতেই তাকে এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করে। আসামী আফজাল একপর্যায়ে সায়মনের পেটে ছুরিকাঘাত করে,এতে তার পেটের ভুঁড়ি বেরিয়ে আসে। তিনি আরও বলেন, এছাড়া আসামি তাহসান মাহমুদ তাকে মারধর করে রক্তাক্ত জখম করে ও তার পকেটে থাকা নগদ টাকা নিয়ে নেয়। একপর্যায়ে সায়মনের ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে প্রথমে পলাশবাড়ি এলাকার হাবিব ক্লিনিক ও পরবর্তীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়।

উক্ত বিষয়ে আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু বকর সিদ্দিক বলেন, গতকাল রাতে গাজিরচট এলাকায় অভিযান চালিয়ে কিশোর সায়মনকে ছুরিকাঘাত করে ভুঁড়ি বের করে ফেলা ও ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করার অভিযোগে কিশোর গ্যাং লিডারসহ ২ জন-কে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং বাকি আসামীরা পলাত রয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামীদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। বাকী আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে বলেও জানান তিনি।