জাতিসংঘ: ইথিওপিয়ায় এক মাসের সংঘাতে নিহত ১৮৩ জন
মো:খায়রুল আলম খান: ইথিওপিয়ার আমহারা অঞ্চলে দেশটির সেনাবাহিনী ও ফানো মিলিশিয়া গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘাতে অন্তত ১৮৩ জন নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় এক বিবৃতিতে এ কথা জানিয়েছে।
সংস্থাটি, হত্যা, সহিংসতা ও মানবাধিকার লঙ্ঘন বন্ধের আহ্বান জানায়।
বিবৃতিতে বলা হয়, এক মাসে এই অঞ্চলটির এক হাজারের বেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে অনেকেই জাতিগত আমহারা বংশোদ্ভূত যুবক।
জেনেভায় জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিসের মুখপাত্র মার্তা হুরতাডো বলেন, “ইথিওপিয়ার কিছু অঞ্চলে মানবাধিকার পরিস্থিতির অবনতিতে আমরা খুবই উদ্বিগ্ন।”
তিনি বলেন, “আমহারা অঞ্চলে ইথিওপিয়ার সামরিক বাহিনী ও আঞ্চলিক ফানো মিলিশিয়াদের মধ্যে সংঘর্ষের কারণে ৪ আগস্ট জরুরি অবস্থা ঘোষণার পর থেকেই পরিস্থিতি যথেষ্ট খারাপ হয়েছে।”
জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, জুলাই থেকে সংঘর্ষে কমপক্ষে ১৮৩ জন নিহত হয়েছে।
প্রতিবেশী টাইগ্রেতে সহিংস যুদ্ধ শেষ হওয়ার পরপরই এই বছর উত্তরাঞ্চলে উত্তেজনা বেড়েছে, যা আমহারার যোদ্ধাদেরও আকৃষ্ট করে।
এপ্রিলে ফেডারেল সরকার ঘোষণা করেছিল, এটি সারা দেশে আঞ্চলিক বাহিনীকে ধ্বংস করছে।
এই পদক্ষেপের জেরে আমহারা জাতীয়তাবাদীদের মধ্যে বিক্ষোভ ছড়িয়ে দেয়।
জাতীয় সেনাবাহিনী ও ফানো নামে পরিচিত স্থানীয় যোদ্ধাদের মধ্যে জুলাইয়ের শুরুতে সংঘর্ষ শুরু হয়।
এর জেরে, ৪ আগস্ট আদ্দিস আবাবার কর্তৃপক্ষ ছয় মাসের জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে।
জরুরি অবস্থার কারণে আদালতের আদেশ ছাড়াই কর্তৃপক্ষ সন্দেহভাজনদের গ্রেপ্তার করার ক্ষমতা পায়। সরকার কারফিউ আরোপ ও জনসমাবেশ নিষিদ্ধ করে।
হুরতাডো বলেন, “আমরা তথ্য পেয়েছি এই আইনের অধীনে ইথিওপিয়া জুড়ে এক হাজারের বেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আটকদের মধ্যে অনেকেই ফানো সমর্থক ও আমহারা জাতিগত বংশোদ্ভূত।”
আগস্টের শুরু থেকে, বাড়ি-ঘরে ব্যাপক তল্লাশি চালানো হচ্ছে বলেও জানা গেছে।
তিনি বলেন, “আমরা কর্তৃপক্ষকে গণগ্রেপ্তার বন্ধের আহ্বান জানাই ও নির্বিচারে আটকদের মুক্তি দেওয়ার জন্য আহ্বান জানাই।”