এক শোক বার্তায় তিনি বলেন, আবদুল্লাহ আল নোমানের মৃত্যুর সংবাদ ছিল আমার জন্য ভীষণ কষ্টের। তার হাত ধরেই আমরা রাজনীতি শুরু করেছি। বিএনপির রাজনীতিতে তিনি ছিলেন একজন কিংবদন্তি রাজনীতিবিদ। তিনি ছিলেন বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী অনন্য এক নেতা। বিএনপির প্রতিষ্ঠাকালিন সময় থেকে দলকে সুসংগঠিত করতে তিনি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে তার ভূমিকা ছিল অপরিসীম। তিনি গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার একদফার আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তিনি কেবল চট্টগ্রাম নয় বাংলাদেশের রাজনীতির অঙ্গনে এক কিংবদন্তি পুরুষ। তিনি শুধু নেতা ছিলেন না, তিনি ছিলেন একটি প্রতিষ্ঠান। তিনি ছিলেন নেতাদের নেতা। বিএনপির রাজনীতিতে তিনি চিরস্বরণীয় হয়ে থাকবেন।
মেয়র বলেন, আবদুল্লাহ আল নোমান ছিলেন বাংলাদেশের রাজনীতির এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে তিনি ছিলেন এক অবিচল যোদ্ধা। ছাত্রজীবন থেকেই তিনি অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন এবং আজীবন জনগণের অধিকার আদায়ের আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছেন। মুক্তিযুদ্ধে তার সাহসী ভূমিকা অবিস্মরণীয়। তাঁর মৃত্যু জাতির জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। তার শূন্যতা কখনো পূরণ হওয়ার নয়।
তিনি বলেন, চট্টগ্রামের উন্নয়নে আবদুল্লাহ আল নোমানের অবদান চিরস্মরণীয়। তিনি চট্টগ্রামের মানুষের জীবনমান উন্নয়নে নানা উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। চট্টগ্রামের ব্যবসা বাণিজ্য, অবকাঠামো উন্নয়ন এবং শিক্ষাক্ষেত্রে তাঁর প্রচেষ্টা ছিল প্রশংসনীয়। তিনি চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড, ইষ্ট ডেল্টা ইউনির্ভাসিটি, স্বৈরাচার বিরোধী ৯০ গণ আন্দোলনে শহীদের স্মৃতি রক্ষায় প্রতিষ্ঠা করেন এন এম জে মহাবিদ্যালয়। এসব ছাড়াও চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের উন্নয়নে তাঁর অবদান চির স্মরণীয় হয়ে থাকবে। জনগণের কল্যাণে তাঁর নেওয়া বিভিন্ন উদ্যোগ আজও চট্টগ্রামের মানুষ শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে।
মেয়র মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবার, সহকর্মী ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।