মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩টায় সিরাজগঞ্জ বাজার স্টেশন (কড়িতলা) মাঠ প্রাঙ্গণে এ বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা শাহিনুর আলমের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি অধ্যাপক জাহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় এ সমাবেশে ও প্রতিবাদ র্যালি অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের আজ ৬ মাস ১০ দিন অতিবাহিত হচ্ছে। বর্তমান সরকারের আমলে এই প্রথম আজ জামায়াতে ইসলামী রাজপথে নামতে বাধ্য হয়েছে। স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার পতনের পর দেশবাসী আশা করেছিল তারা সকল প্রকার জুলুম নির্যাতন থেকে রেহাই পাবে। যারা মিথ্যা মামলায় কারাগারে আটক ছিলেন তারা মুক্তি পাবে। কিন্তু শেখ হাসিনার পতনের পর ফাঁসির আসামীসহ অনেকেই মুক্তি পেলেও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাবেক ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলাম মুক্তি পাননি। তার মুক্তি না হওয়ায় দেশবাসী বিস্মিত ও হতবাক।’
এ সময় বক্তারা আরো বলেন, ২০২৪ সালে ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ থেকে পালিয়ে যায়। দেশ স্বৈরাচারের কবল থেকে মুক্তিলাভ করে। রাজনৈতিক মিথ্যা মামলায় ফ্যাসিস্ট সরকারের গ্রেফতারকৃত অনেক নেতাকর্মী মুক্তিলাভ করেন। রাষ্ট্রপতির আদেশে অনেককে তৎক্ষণাৎ মুক্তি দেওয়া হয়। দেশবাসী আশা করেছিল যে, চরম জুলুম-নির্যাতনের শিকার এটিএম আজহারুল ইসলাম স্বৈরাচার মুক্ত বাংলাদেশে মুক্তিলাভ করবেন। কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকারের ক্ষমতা গ্রহণের ৬ মাস ১০ দিন অতিবাহিত হওয়ার পরও এটিএম আজহারুল ইসলাম মুক্তি পাননি। জামায়াত স্বৈরশাসনামলে জুলুম ও নির্যাতনের শিকার হয়েছে। আর স্বৈরশাসনমুক্ত বাংলাদেশে জামায়াত এখনো বৈষম্যের শিকার। তাই
অন্তর্বর্তী সরকারের নিকট অবিলম্বে আজহারুল ইসলামের মুক্তির দাবী জানান তারা।’
সমাবেশ শেষে বাজার স্টেশন চত্ত্বর থেকে একটি মিছিল বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় বাজার স্টেশনে এসে শেষ হয়। মিছিলে জেলার ১২টি থানা হতে আগত জামায়াত ইসলামী, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন ও ইসলামী ছাত্র শিবিরের নেতাকর্মীসহ হাজার হাজার সমর্থক অংশগ্রহণ করেন।