জাবির পোষ্য কোটা বাতিল
ইউসুফ আলী খান।। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় পোষ্য কোটা সম্পূর্ণরূপে বাতিল ঘোষণা করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসান। গতকাল মঙ্গলবার রাত সোয়া ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এই ঘোষণা দেন উপাচার্য। পোষ্য কোটা বাতিল ঘোষণার পরে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় আনন্দ মিছিল করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
উপাচার্যের সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষা কমিটির এক জরুরি সভায় ভর্তি পরীক্ষায় পোষ্য কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসান বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবি বিবেচনায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা দিতে কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের ৪৮ ব্যাচের শিক্ষার্থী মুয়িদ মুহম্মদ ফাহিম বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন টানা দুই দিন ধরে অনশন করে। তবুও তাদের আশা আকাঙ্ক্ষার পূর্ণ প্রতিফলন হয়নি। তারা তাদের ন্যায্য প্রতিদান পায়নি। এর পরিপ্রেক্ষিতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবন অবরোধ করি। এরপরে উপাচার্য স্যার সব অংশীজনের সঙ্গে দীর্ঘ ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা আলোচনার মাধ্যমে পোষ্য কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়।
গত সোমবার রাত সোয়া ১২টার দিকে পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে অনশনরত শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক সংস্কারের আশ্বাস দেয় উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসান। সেই আশ্বাসের ভিত্তিতে অনশন কর্মসূচি থেকে সরে আসে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
তবে পোষ্য কোটা সংস্কারের প্রস্তাবকে প্রত্যাখ্যান করে সম্পূর্ণরূপে বাতিলের দাবিতে গতকাল মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে তালা মেরে অবরুদ্ধ করে রাখেন শিক্ষার্থীরা। বিকেল ৫টার দিকে পোষ্য কোটা নিয়ে সিদ্ধান্ত জানানোর জন্য উপাচার্যকে ৪ ঘণ্টা সময় দেওয়া হয়। পরে জরুরি সভা শেষে পোষ্য কোটা সম্পূর্ণরূপে বাতিলের ঘোষণা দেন উপাচার্য।
এদিকে গতকাল মঙ্গলবার সকালে পোষ্য কোটার জন্য আগে যে সুযোগ-সুবিধা ছিল সেগুলো পুনর্বহালের জন্য প্রতিবাদ মিছিল করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার সমিতি, কর্মচারী সমিতি এবং কর্মচারী ইউনিয়ন। একইসঙ্গে পোষ্য কোটার জন্য আগের সব সুযোগ-সুবিধা পুনর্বহালের দাবিতে আজ বুধবার থেকে টানা কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।