বেক্সিমকোর কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে মানববন্ধন
ইউসুফ আলী খান।। বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে অবস্থিত সকল কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে সকাল ১০ টা থেকে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করছে বেক্সিমকো এর কর্মচারী, কর্মকর্তা,তৃতীয় লিঙ্গের লোক, শ্রমিকরাসহ তাদের পরিবারের সদস্যরা। নবীনগর থেকে চন্দ্রা পর্যন্ত প্রায় ১৫ কিলোমিটার লম্বা এই মানববন্ধনে প্রায় ২০ হাজার কর্মকর্তা ও শ্রমিক অংশগ্রহণ করেছে বলে দাবি করেন তারা। চন্দ্রা- নবীনগর মহাসড়কে একপাশে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে তারা তাদের দাবি জানিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছে।
মঙ্গলবার ১৪ জানুয়ারি সকাল ১০ টা থেকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের নবীননগর থেকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের চন্দ্রা পর্যন্ত প্রায় ১৫ কিলোমিটার রাস্তায় অবস্থান নিয়ে তারা এ মানববন্ধন করে।
এ সময় তারা বলেন বেক্সিমকো পার্কের সকল প্রতিষ্ঠান খুলে দিতে হবে নতুবা তারা আরো কঠোর আন্দোলনে যাবেন।
তৃতীয় লিঙ্গের নেতৃবৃন্দরা বলেন বেক্সিমকো পার্কের শ্রমিকরা ১০-২০ হাজার টাকা বেতনের চাকরি করে পরিবার-পরিজন নিয়ে চলেন। তাদের এই সামান্য বেতনের টাকা থেকে আমরাও চলি। আজকে তাদের ঘরে খাবার নেই ছেলেমেয়েদের স্কুলের লেখাপড়ার বেতন দিতে পারে না। বেক্সিমকো গ্রুপের সকল প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি তারা অনুরোধ জানান।
এ সময় বেক্সিমকো গ্রুপের শ্রমিকদের কোমলমতি ছেলে মেয়ে বা শিক্ষার্থীরা বলেন, আমাদের ঘরে খাবার নেই স্কুলের লেখাপড়ার খরচ বাবা-মা দিতে পারতেছে না, আমাদের লেখাপড়া বন্ধ, আমাদের আগামী ভবিষ্যৎ অন্ধকার। তাই বর্তমান সরকার ও বেক্সিমকো গ্রুপের কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি আমাদের আগামী ভবিষ্যৎ ও খাবারের ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য অতি দ্রুত কারখানাগুলো খুলে দেওয়া হোক।
এ সময় শ্রমিকরা বলেন, আমরা বেক্সিমকো গ্রুপে ১০ ১৫ বছর ধরে চাকরি করে আসছি। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতা আন্দোলনের পর বেক্সিমকো গ্রুপ আমাদের মাসিক বেতন ও প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা পরিশোধ না করে আমাদেরকে চাকরিচ্যুত করে। আমরা বেক্সিমকো গ্রুপে চাকরি করার এখন কোথাও গেলে আমাদের চাকরি হয় না। আমরা এখন পরিবার-পরিজন নিয়ে খুবই কষ্টে দিন যাপন করছি। তাই কর্তৃপক্ষের কাছে এবং সরকারের কাছে আমাদের অনুরোধ অনতিবিলম্বে আমাদের পাওনাদি পরিশোধ করে কারখানা খুলে দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। নতুবা আমরা আরো কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হব।
কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। তবে নবীনগর চন্দ্রা মহাসড়কে দীর্ঘ যানজরের কারণে ভোগান্তিতে পড়ে সাধারণ জনগণ।