ঢাকা | নভেম্বর ২৬, ২০২৪ - ১০:৪১ অপরাহ্ন

শিরোনাম

পরিচালকের দূর্ণীতি ও অনিয়মে ধ্বংসের পথে বান্দরবান ইসলামী শিক্ষাকেন্দ্র

  • আপডেট: Tuesday, November 26, 2024 - 10:33 am

মোহাম্মদ আজিজ উল্লাহ,বান্দরবান।

বান্দরবানের ঐতিহ্যবাহী দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ইসলামী শিক্ষাকেন্দ্রের বর্তমান পরিচালক মাও.হোসাইন মোহাম্মদ এর স্বেচ্ছাচারিতা,দূর্নীতি,অনিয়ম ও অর্থ আত্মসাতের কারনে প্রতিষ্ঠানটি ধ্বংসের পথে।বর্তমান পরিচালনা কমিটি বাতিল করে নতুন কমিটি গঠনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি পুনরুজ্জীবিত করার দাবীতে এক সংবাদ সম্মেলনে এইসব কথা বলেন বান্দরবানের সচেতন নাগরিক সমাজের ব‍্যক্তিবর্গ।

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর ) সকাল ১১টায় বান্দরবান প্রেসক্লাব সভা কক্ষে সংবাদ সন্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সন্মেলনে বক্তারা এক লিখিত বক্তব‍্যে বলেন,পাহাড়ি অঞ্চল বান্দরবান জেলায় দ্বীনি শিক্ষার প্রচার ও প্রসারের মহৎ লক্ষ্য নিয়ে আলহাজ্ব ইউনুস সাহেব নামে একজন বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ ১৯৮৯ সালে এই ইসলামী শিক্ষাকেন্দ্রটি প্রতিষ্ঠা করেন। পরিচালক আলহাজ্ব ইউনুস সাহেব ও তৎকালীন পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের আন্তরিক প্রচেষ্টায় ১৯৯২ সাল পর্যন্ত“ইসলামী শিক্ষা কেন্দ্র” বান্দরবানের বৃহত্তর দ্বীনি শিক্ষাকেন্দ্র হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। স্বল্প সময়ে উক্ত শিক্ষা কেন্দ্রে ৮০০/১০০০ ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি হন। কিন্তু ১৯৯২ সালে পরিচালক আলহাজ্ব ইউনুস সাহেব মৃত‍্যুবরণ করেন।মৃত‍্যুর কিছুদিন পর তার পুত্র মাও.হোসাইন মোহাম্মদ অবৈধভাবে নিজের নাম পরিবর্ধন করে “মাও.হোসাইন মোহাম্মদ ইউনুস” হিসেবে ইসলামী শিক্ষাকেন্দ্রের পরিচালকের পদটি দখল করে।প্রতিষ্ঠানটির নামীয় “প্রচুর জমি,বিভিন্ন স্থাপনা ও দেশি বিদেশী অনুদানের” লোভে তার বিশ্বস্ত ও অনুগত লোকজন নিয়ে নতুন পরিচালনা পর্ষদ গঠন করে।তারপর থেকেই শুরু হয় ইসলামী শিক্ষা কেন্দ্রের অবনতি।

অভিজ্ঞ শিক্ষকদের বরখান্ত করে তার অনুগত শিক্ষক নিয়োগ,ভুয়া এতিম ছাত্রছাত্রী দেখিয়ে সমাজ কল্যাণ অধিদপ্তর হতে প্রতি মাসে মোটা অংকের টাকা অনুদান গ্রহণ,অবৈধভাবে প্রাতিষ্ঠানিক জায়গা-জমি বিক্রয়,প্রাতিষ্ঠানিক মালিকানাধীন বেশ কিছু দোকান ভাড়া আত্মসাত,মসজিদে মুসল্লিদের নামাজ পড়তে বাধা দান,সব সময় প্রতিষ্ঠানের প্রবেশ গেইট বন্ধ রাখা,দেশি-বিদেশী অনুদান আত্মসাতসহ বহু অভিযোগ তুলে ধরা হয় সন্মেলনে।
সম্প্রতি বান্দরবান জেলা মডেল মসজিদ নির্মানের জন‍্য প্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন
০.৩২ একর জমি নিজের ব্যক্তিগত
সম্পত্তি হিসেবে মডেল মসজিদের জন্য অধিগ্রহণের মাধ্যমে কোট কোটি টাকা আত্মসাতের চেষ্টাও এই পরিচালক চালিয়ে যাচ্ছেন।

পরিশেষে বক্তারা বলেন,অচিরেই বান্দরবান ইসলামী শিক্ষাকেন্দ্রের বর্তমান
স্বৈরতান্ত্রিক,অর্থ আত্মসাৎকারী পরিচালনা পর্ষদ বাতিল করা হোক।জেলা প্রশাসককে পদাধিকার বলে সভাপতি করে বান্দরবান জেলার সচেতন ইসলামী ব্যক্তিবর্গ ও জনপ্রতিনিধির সমন্বয়ে একটি নতুন পরিচালনা পর্ষদ গঠণ করা হোক।যাতে গণতান্ত্রিক ও অংশগ্রহণমূলক পদ্ধতিতে ইসলামী শিক্ষা কেন্দ্র পরিচালনা করা হয় এবং এই অঞ্চলের ইসলামী শিক্ষা প্রচারের বৃহত্তর সুযোগ তৈরী করা যায়।

এইসময় উপস্থিত ছিলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী মো: মজিবর রহমান, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আবুল কাশেম সওদাগর,আবুল বশর, মাহবুবুর রহমান,মাহবুবুল আলম, হাফেজ মাওলানা জাকারিয়া সহ সচেতন নাগরিক সমাজের ব্যক্তিবর্গ এবং বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।