ঢাকা | নভেম্বর ১৪, ২০২৪ - ১১:০৭ অপরাহ্ন

ডাকাতির ৩২ লাখ টাকার গরুসহ আটক ৬

  • আপডেট: Wednesday, October 30, 2024 - 10:56 am

ইউসুফ আলী খান।। গরু ডাকাতির ঘটনায় আন্তজেলা ডাকাত চক্রের ছয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ। ডাকাতি হওয়া ৩২ লাখ টাকা মূল্যের ২১টি গরুর মধ্যে উদ্ধার হয়েছ সাতটি গরু। জব্দ করা হয়েছে লুণ্ঠিত ট্রাক ও ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত আরও একটি পিকআপ। বুধবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে আশুলিয়া থানায় সংবাদ সম্মেলন করে বিষয়টি নিশ্চিত করেন সাভার সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহীনূর কবির।

চাঞ্চল্যকর এ ঘটনায় ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার ( অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত) আহম্মদ মুঈদ মহোদয় এর দিকনির্দেশনে সাভার সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহীনুর কবীর এর তত্ত্বাবধানে আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবু বক্কর সিদ্দিক এর সহযোগিতায় আশুলিয়া থানার পুলিশ উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইকবাল হোসেন (পিপিএম) কে নিয়ে একটি চৌকস তদন্ত টিম গঠন করা হয়। সোর্সদের মাধ্যমে ও উন্নত তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে ডাকাত শনাক্ত করে মঙ্গলবার রাতে আশুলিয়ার কলতাসূতি বাড়ল এলাকা থেকে ডাকাত দলের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

পরে গ্রেপ্তারদের তথ্যের ভিত্তিতে ময়মনসিংহ, জামালপুর, গাজীপুর ও টাঙ্গাইল থেকে গ্রেপ্তার করা হয় আরও চার ডাকাত সদস্যকে। তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে লুণ্ঠিত ২১টি গরুর মধ্যে সাতটি গরু উদ্ধার করা হয়। ডাকাতির ঘটনায় ট্রাকসহ আরও একটি পিকআপ জব্দ করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- সিরাজগঞ্জ জেলা শাহজাদপুর থানা বেলুটিয়া গ্রামের করিম মোল্লা আওয়াল বেপারীর ছেলে মো.তোফাজ্জল হোসেন ভাঙ্গারী বাবু (২৮), একই গ্রামের আফজাল শেখের ছেলে মো.কুরবান আলী (২৫), সিরাজগঞ্জ জেলা শাহজাদপুর থানা দেওয়ান টাইটা গ্রামের কাদের শেখের ছেলে আল আমিন শেখ (৩০), একই এলাকার তারুটিয়া গ্রামের আমজাদ মোল্লার ছেলে শহিদুল (৩৬), ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানার কলতাসূতি বাড়ল এলাকার ইদ্রিস আলীর ছেলে সজিব(২১)সহ একই এলাকার টিটু মিয়ার ছেলে শিবলু(২০)।

সংবাদ সম্মেলনে সাভার সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহীনূর কবির আরও বলেন,গত ২৮ অক্টোবর রাজশাহী সিটি হাট থেকে গরুর ব্যাপারী শহিদুল এনাম রাশেল প্রায় ৩২ লাখ টাকায় ২১টি গুরু কিনে লোক মারফত ট্রাক দিয়ে চট্টগ্রাম পাঠাচ্ছেন । এ সময় আশুলিয়ার বলিভদ্র বাজার এলাকা থেকে ট্রাকের ড্রাইভার, হেলপার ও গরুর রাখালকে হাত পা বেঁধে গরুসহ ট্রাক ডাকাতি করে নিয়ে যায়। প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় গ্রেপ্তারকৃতরা সবাই আন্তজেলা ডাকাত চক্রের সদস্য। গ্রেপ্তারকৃতদেরকে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। ডাকাতির সঙ্গে জড়িত অন্যান্যদের গ্রেপ্তার ও গরু উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।