ঢাকা | অক্টোবর ২৫, ২০২৪ - ২:২১ অপরাহ্ন

চাঁদপুরে মা ইলিশ নিধন, আটক ৩০০

  • আপডেট: Friday, October 25, 2024 - 5:31 am

জাগো জনতা অনলাইন।। মা ইলিশের নিরাপদ প্রজনন রক্ষায় চলছে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা। প্রথম ১২ দিনে সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চাঁদপুর নৌ-অঞ্চলে পদ্মা-মেঘনা নদীর অভয়াশ্রম এলাকায় ইলিশ শিকারের দায়ে তিন শতাধিক জেলেকে আটক করেছে প্রশাসন। জেলেদের দাবি, জেলে তালিকায় নেই প্রকৃত জেলেরা। সরকারি সহায়তা এতে কিছু জেলে নিরুপায় হয়ে নদীতে নামছেন। অন্যদিকে নৌ-পুলিশ বলছে, এবার মা ইলিশ রক্ষায় নদীতে জেলেদের বিচরণ কম। টাস্ক ফোর্সের মাধ্যমে টহল বৃদ্ধি করা হয়েছে।

জানা গেছে, দেশের পাঁচটি অভয়াশ্রমে সব ধরনের মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা চলছে। চাঁদপুর নৌ-পুলিশ অঞ্চলে নিষেধাজ্ঞার ২২ দিনের প্রথম ১০ দিনেই ২৮৬ জেলেকে আটক করা হয়েছে। প্রায় ৩৬ লাখ মিটার কারেন্ট জাল ও ৬৮টি নৌকা জব্দ করে প্রশাসনের সমন্বিত টাস্ক ফোর্স। সরকারের দেওয়া ২৫ কেজি চালে সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন জেলেরা। এই সহায়তার পরিমাণ বৃদ্ধি ও প্রকৃত জেলেদের সহায়তার করা হলে অভিযান সফল হবে বলে জানান তাঁরা।

চাঁদপুর সদর উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান জানান, গেল ২৪ ঘণ্টায় চাঁদপুর সদরের মেঘনা নদীর অভয়াশ্রম এলাকায় জেলা ও উপজেলা টাস্কফোর্স অভিযান পরিচালনা করে ১৪ জন জেলেকে আটক করে। এর মধ্যে ৫ জেলের ৭ দিনের এবং ৪ জেলের ১০ দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। জেলেদের হেফাজতে থাকা ৩টি ইঞ্জিন চালিত মাছ ধরার নৌকা, ৩৫ হাজার মিটার অবৈধ কারেন্টজাল এবং ৩৩ কেজি মা ইলিশ মাছ জব্দ করা হয়।

এই মৎস্য কর্মকর্তা আরও জানান, জব্দকৃত কারেন্টজাল কোস্টগার্ড চাঁদপুর স্টেশনে আগুনে পুড়িয়ে বিনষ্ট এবং নৌকাগুলো কোস্টগার্ড হেফাজতে রয়েছে। আর জব্দকৃত ইলিশ স্থানীয় বিভিন্ন এতিমখানায় বিতরণ করা হয়।

চাঁদপুর নৌ অঞ্চলের সহকারী পুলিশ সুপার ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, চাঁদপুর নৌ অঞ্চলের ১২টি পুলিশ ফাঁড়িতে জেলা প্রশাসনের গঠিত সমন্বিত টাস্কফোর্সের অভিযানে ৭ লাখ ১৮ হাজার ৬০০ মিটার জাল, ১০৮ কেজি ইলিশ মাছ ও ৬টি নৌকা জব্দ করা হয়েছে।

চাঁদপুর নৌ অঞ্চল পুলিশ সুপার সৈয়দ মো. মোশফিকুর রহমান বলেন, অভিযানে চাঁদপুরের মতলবে প্রশাসনের ওপর জেলেদের হামলার ঘটনায় চারজনকে আটক করা হয়েছে। ১২টি নৌ পুলিশ ফাঁড়ি নিয়ে গঠিত চাঁদপুর নৌ অঞ্চল। এবার প্রতিটি ফাঁড়ি ও চরাঞ্চলসহ কয়েকটি স্পটে ২৪ ঘণ্টায় নৌ পুলিশসহ সমন্বিত টাস্ক ফোর্সের সদস্যরা নিয়োজিত রয়েছেন। বিগত বছরের তুলনায় এবার জেলেরা সচেতন।

এদিকে আশাবাদ ব্যক্ত করে চাঁদপুর মৎস্য গবেষণা কেন্দ্রের ইলিশ গবেষক বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আবু কাউসার দিদার বলেন, ‘গেল বছর মা ইলিশ ডিম ছেড়েছে শতকরা ৫২ স্প্যান। এবার মা ইলিশ রক্ষার অভিযান সফল হলে, এই রেকর্ড অতিক্রম করবে বলে প্রত্যাশা করছি।’