কিশোরগঞ্জে ৬০০ টাকার জন্য যুবককে হত্যা,মূল আসামিসহ গ্রেফতার ৩
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি: কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার চমকপুর এলাকায় পাওনা ৬০০ টাকার জন্য এক যুবককে ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয়েছে। নিহত ওই যুবকের নাম নূর আলম (৩৭)। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের এক ঘণ্টার মধ্যে এজাহারনামীয় মূল আসামিসহ তিন আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সোমবার (২৪ জুলাই ২০২৩) রাত ১১টা থেকে নিহত নূর আলম নিখোঁজ হয়ে যায়। একদিন পর পরদিন দুপুরে জনৈক মিন্টু মিয়ার পাটক্ষেত থেকে ওড়না দিয়ে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় নূর আলমের লাশ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানায়, চমকপুর গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে নূর আলমের (৩৭) কাছে দীর্ঘদিন যাবত পাওনা ৬০০ টাকা নিয়ে বিবাদীদের বিরোধ চলে আসছে। এর জের ধরে গত সোমবার রাত ১১টার দিকে নূর আলমকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় তারা। এরপর থেকে তার কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। পরদিন দুপুরে জনৈক মিন্টু মিয়ার পাটক্ষেত থেকে ওড়না দিয়ে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় নূর আলমের লাশ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় নিহত নূর আলমের স্ত্রী শিউলি আক্তার বাদী হয়ে বুধবার বিকালে ৯ জনের নাম উল্লেখ করে কটিয়াদী থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
মামলা রুজুর পর পরই কটিয়াদী থানার একটি বিশেষ টিম মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মো. আনিছুল হকের নেতৃত্বে বুধবার দুপুর ২টার দিকে অভিযান চালিয়ে এজাহারনামীয় মূল আসামিসহ তিন আসামিকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হন। তারা হলেন চমকপুর গ্রামের আব্দুর রউফ মিয়ার ছেলে এজাহারনামীয় মূল আসামি রফিক মিয়া (৩০) এবং অন্য দুজন হলেন ভুনা গ্রামের মৃত মাহতাব উদ্দিনের ছেলে আকাশ মিয়া (২৬) ও একই গ্রামের মৃত ছালেক খানের ছেলে হাদিস খাঁ (৪৮)।
এদিকে এজাহারনামীয় মূল আসামি রফিক মিয়াকে বুধবার বিকালে আদালতে উপস্থাপন করলে তিনি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পার্থ ভদ্র আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করেন। গ্রেফতার অন্য দুই আসামিও প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।