ঢাকা | নভেম্বর ২১, ২০২৪ - ৮:০২ অপরাহ্ন

‘শিক্ষক সোহেল রানা ও মামুন হত্যার নেপথ্যে পার্বত্য তিন জেলায় জুমল্যান্ড বাস্তবায়ন’

  • আপডেট: Saturday, October 5, 2024 - 8:23 am

নিজস্ব সংবাদদাতা।। খাগড়াছড়িতে শিক্ষক সোহেল রানা ও রাঙামাটিতে মামুনকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যার নেপথ্যে পার্বত্য তিন জেলাকে জুমল্যান্ড বাস্তবায়নের অভিপ্রায় বলে দাবি করেছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের নেতারা।

 

আজ শনিবার (৫ অক্টোবর) সকাল ১১টায় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়ন হল রুমে পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদের বিচারবহির্ভূত হত্যা ও পার্বত্য তিন জেলা নিয়ে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদ সভায় এ দাবি করা হয়।

এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পিসিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান কাজী মুজিবর রহমান। প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন পিসিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ও স্থায়ী কমিটির সদস্য শেখ আহমেদ রাজু।

এছাড়াও পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ (পিসিসিপি) কেন্দ্রীয় কমিটি সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন কায়েশ এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হাবীব আজমের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পিসিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব আলমগীর কবির, পিসিসিপি কেন্দ্রীয় কমিটির সি:সহ-সভাপতি আসিফ ইকবাল, সাংগঠনিক সম্পাদক রাসেল মাহমুদ, চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি গিয়াস উদ্দিন, চবি সাধারণ সম্পাদক ইমন, রাবিপ্রবি সভাপতি আলম, খাগড়াছড়ি সভাপতি সুমন আহম্মেদ, রাঙামাটি সাধারণ সম্পাদক তাজুল ইসলাম, বান্দরবান জেলা সাধারণ সম্পাদক হাবিব আল মাহমুদ।

 

বক্তারা বলেন, খাগড়াছড়ি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক আবুল হাসান মুহাম্মদ সোহেল রানা। তিনি বিগত সময়ে কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ায় চাকরিতে বহাল হন। কিন্তু, তাতে বাঁধা দিচ্ছিল সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠন ইউপিডিএফ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তাকে অন্যত্র বদলি করা হয়। ১অক্টোবর মঙ্গলবার তিনি রিলিজ অর্ডার নিতে বিদ্যালয়ে যান। সেখানে একই সময়ে ছাত্রী ধর্ষণ কতটুকু যৌক্তিক? পূর্বেও তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, কিন্তু তিনি আদালত কর্তৃক নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছেন। তাহলে মিথ্যা অভিযোগ এনে তাকে স্কুলের ভিতর নির্মম ভাবে হত্যা করলো কেন উপজাতি সন্ত্রাসীরা?

সারাদেশে মব কিলিং এ মারা যাওয়া কারোর অতীতে কতগুলা চুরি করলো সেটা উঠে আসে না, কতগুলা মামলা ছিলো সেটাও উঠে আসেনা। কিন্তু খাগড়াছড়িতে মব লিঞ্চিং এ মারা যাওয়া মামুনের অতীতের চুরির ঘটনা উঠে আসে, সোহেল রানার ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনা উঠে আসে। সারাদেশে মব লিঞ্চিং থাকলেও, খাগড়াছড়িতে এসে অতীতের ঘটনা উঠিয়ে সেটা মৰ জাস্টিজই বানানো হচ্ছে কেন?

চোর, ধর্ষক, খুনি- অপরাধী যাই হোক প্রত্যেক অপরাধের বিচারের জন্য দেশের সুনির্দিষ্ট আইন রয়েছে। কিন্তু হঠাৎ করে এভাবে আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার মাধ্যমে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করতে উপজাতি একটি কুচক্রী মহল সূক্ষ্মভাবে ষড়যন্ত্র করছে। এই ষড়যন্ত্রকে যদি রাষ্ট্র অবহেলা করে তবে সামনে পাহাড়ের সাধারণ মানুষের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বাঙালিদের উপর একের পর এক মিথ্যা অভিযোগ আর অপবাদের মাধ্যমে বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ড গুলো যার প্রমাণ বহন করে।

বক্তারা আরো বলেন, মূলত পাহাড়ে নিজেদের কায়েমি স্বার্থ হাসিল করতেই চলমান অস্থিরতা তৈরিতে মূল উস্কানি দাতা ও পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে ভূমিকা রাখছেন চাকমা সার্কেল চীফ দেবাশীষ রায় ও তার ২য় স্ত্রী ইয়ান ইয়ান, গৌতম দেওয়ান, মাইকেল চাকমা, প্রসীত বিকাশ খীসা, প্রফেসর মংসানু চৌধুরী, নিরূপা দেওয়ান,বাঞ্ছিতা চাকমা, প্রকৃতি রঞ্জন চাকমা, জুয়ামলিয়ান আমলাই, এডভোকেট সুষ্মিতা চাকমা, শান্তি বিজয় চাকমা, এডভোকেট মাধবী মারমা, অশোক কুমার চাকমা, ইমতিয়াজ মাহমুদ, মেজবাহ কামাল সহ আরো অনেকেই। পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে ষড়যন্ত্র ও সংঘাত বন্ধ করতে হলে রাষ্ট্রের উক্ত উস্কানিদাতাদের এখনি নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি, তারা যদি ষড়যন্ত্র ও উস্কানি দেওয়া বন্ধ না করে তাহলে অবিলম্বে তাদেরকে আইনের আওতায় আনতে হবে।

ষড়যন্ত্রকারীরা নেপথ্যে থেকে সংঘাত ও বৈষম্য বিরোধী পাহাড়ি ছাত্র আন্দোলন এর ব্যানারে জেএসএস এবং ইউপিডিএফ এর ছাত্র, যুব ও মহিলা সংগঠন তথা পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ (পিসিপি)’র ২য় ও ৩য় সারির নেতাকর্মীদের দিয়ে আন্দোলনের নামে পার্বত্য চট্টগ্রামে নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে। প্রতিটি আন্দোলনে আঞ্চলিক দলগুলির সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা জোরপূর্বক ভয়ভীতি প্রদর্শন করে সাধারণ পাহাড়িদের তাদের সাথে আন্দোলনে নামাতে বাধ্য করছে।

বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকারের অনেকেই তাদের রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য, সংবিধানের রক্ষন, সমর্থন ও নিরাপত্তা বিধান এবং সকলের প্রতি আইন অনুযায়ী বিহীত আচরণের শপথের ব্যত্যয় ঘটিয়ে পাহাড়ের বিচ্ছিন্নতাবাদী ও ষড়যন্ত্রকারীদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সমর্থন দিয়ে পক্ষপাত মূলক আচরণ করছে। তারা দীর্ঘ দিন পূর্ব থেকেই ষড়যন্ত্রকারী পাহাড়ি উপজাতিদের সাথে মিলে রাষ্ট্র ও সংবিধান পরিপন্থী আদিবাসী আন্দোলন সংগঠিত করতে ভূমিকা পালনকারী এনজিও সমূহের সাথে সম্পৃক্ত। বর্তমানে সংবিধান রক্ষার শপথ নিয়ে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায়ে দায়িত্ব গ্রহণের পরও তাঁরা তাঁদের শপথের ব্যত্যয় ঘটিয়ে ষড়যন্ত্রকারীদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সহায়তা, মদদ ও প্রশ্রয় দিয়ে যাচ্ছেন।

এছাড়াও কতিপয় সুশীলব্যক্তি, টকশোকারী, সরকারি আমলা, গণমাধ্যম, বিশিষ্ট ব্যক্তি ও মানবাধিকারের নামধারী কর্মী, বাম দলগুলোর কিছু নেতা পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত বাঙালিদের ও দেশের নিরাপত্তায় নিয়োজিত সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত ভাবে উপস্থাপন করতে তৎপর রয়েছে এবং দেশের এক-দশমাংশ নিয়ে ষড়যন্ত্র ও বিচ্ছিন্নতাবাদীদের পক্ষ অবলম্বন করে দেশের স্বার্থের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে, যা জাতীয় নিরাপত্তা, ঐক্য ও সংহতির প্রতি গুরুতর হুমকি।

পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি, সম্প্রীতি, সমতা ও ন্যায্যতা আনায়নে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার নিকট প্রতিবা সভা থেকে পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদের নেতৃবৃন্দ ১২ দফা দাবি জানান।

দাবিগুলো হলো-  খাগড়াছড়িতে ১৮ সেপ্টেম্বর মামুন হত্যাকারী সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনা, ১৯ সেপ্টেম্বর দীঘিনালায় শিক্ষার্থীদের মিছিলে প্রথমে হামলাকারী ও ফাকা গুলি করা ইউপিডিএফের সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনা, ২০ সেপ্টেম্বর রাঙামাটি শহরে সংঘাত ও বৈষম্য বিরোধী পাহাড়ি ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারের আড়ালে সশস্ত্র সংগঠনগুলোর সন্ত্রাসী কর্তৃক প্রথমে বাঙালিদের দোকানপাটে হামলা, মসজিদে ভাংচুর, বাস, ট্রাক, সিএনজি ভাংচুর ও জ্বালিয়ে দেওয়া সহ খাগড়াছড়িতে ১ অক্টোবর মঙ্গলবার শিক্ষক সোহেল রানাকে হত্যাকারী সকল উপজাতি সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনতে হবে।

বাংলাদেশে কোন আদিবাসী নেই। ১৯৯৭ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তিতে (CHT Agreement) এ পার্বত্যবাসীর পক্ষে জনসংহতি সমিতির চেয়ারম্যান সন্তু লারমা স্বাক্ষর করে ‘উপজাতি’ পরিচয়টি মেনে নিয়েছেন। উপজাতি হয়ে ২০০৭ সাল থেকে নতুন করে আদিবাসী স্বীকৃতি চাওয়ার পিছনে দেশভাগের ষড়যন্ত্র রয়েছে। ষড়যন্ত্র বন্ধ করতে যারা আদিবাসী বলবে ও লিখবে তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে।

পার্বত্য চট্টগ্রামে স্থায়ী শান্তি, শৃঙ্খলা ও সকল সম্প্রদায়ের জনগণের নিরাপত্তার জন্য সেনাবাহিনীকে যথাযথ ক্ষমতা দিয়ে ও অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনীকে শক্তিশালী করে যৌথ অভিযানের মাধ্যমে সশস্ত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠী গুলোর হাত থেকে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করে ও চাঁদাবাজি বন্ধ করে সন্ত্রাস মুক্ত পার্বত্য চট্টগ্রাম গড়তে বর্তমান সরকারকে কার্যকরী ভূমিকা গ্রহণ করতে হবে।

সাম্প্রদায়িক ও রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত সিএইচটি কমিশনের কার্যক্রম অবৈধ ঘোষণা করতে হবে।

পার্বত্য এলাকায় বিদেশী দাতা সংস্থার অর্থায়নে কিছু বিশেষ গোষ্ঠীর দ্বারা পরিচালিত এনজিওদের রাষ্ট্রের স্বার্থ ও নিরাপত্তা বিরোধী কার্যকলাপে জড়িত থাকার কারণে তাদের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষনা করতে হবে। পার্বত্য চট্টগ্রামে এনজিও সংস্থা সমূহের রাষ্ট্রের স্বার্থের পরিপন্থি, বৈষম্যমূলক ও সাম্প্রদায়িক কর্মকান্ড বন্ধ করতে হবে।

পার্বত্য অঞ্চলে সকল অবৈধ অস্ত্রধারী সশস্ত্র সন্ত্রাসী দলসমূহের তথাকথিত স্বাধীন (জুমল্যান্ড) রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার নামে বিচ্ছিন্নতাবাদী কার্যক্রম বন্ধে রাষ্ট্র এবং সরকার কর্তৃক যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। পার্বত্য চট্টগ্রামে শত শত বছর ধরে বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ও বাঙালিদের সহাবস্থান ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধন সুদৃঢ় করে শান্তি ও উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখার জন্য এবং গুম, খুন, চাঁদাবাজি বন্ধ করে স্থিতিশীল ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির পার্বত্য চট্টগ্রাম প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

ষড়যন্ত্রমূলক এবং একটি বিশেষ শ্রেণী গোষ্ঠীর পার্বত্য চট্টগ্রামের সরকারি খাস ভূমি দখল এবং বনজ সম্পদ ধ্বংসের পায়তারার অংশ হিসেবে চালু করা ভিলেজ কমন ফরেস্ট (ভিসিএফ) বা পাড়াবন প্রকল্প অবিলম্বে বাতিল করতে হবে। বিভিন্ন প্রজাতির বাঁশ এবং এই অঞ্চলের বাস্তুসংস্থানের সাথে সংশ্লিষ্ট উদ্ভিদ ও প্রাণী প্রজাতি সংরক্ষনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। সংরক্ষিত বন অঞ্চল এবং জীব বৈচিত্র ধ্বংসের সাথে সম্পৃক্ত সকল কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে। যথেচ্ছ ভাবে শামুক, ব্যাঙ, সাপ, বাঁশকোড়ল সংগ্রহ বন্ধ করতে হবে। জুম চাষের নামে শত শত একর বনভূমি এবং জীব বৈচিত্র পুড়িয়ে ধ্বংস করা রোধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। জুম নিয়ন্ত্রন বন বিভাগ, পাহাড়ি কৃষি গবেষনা কেন্দ্র, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কার্যক্রম বৃদ্ধি করা এবং জুম চাষের বিকল্প হিসেবে বহুমুখী, দীর্ঘমেয়াদী এবং পাহাড়ের উপযোগী কৃষি ব্যবস্থা চালু করতে হবে।

সকল সরকারি চাকরি, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি, উপবৃত্তি ইত্যাদির ক্ষেত্রে বৈষম্য মূলক উপজাতি কোটার পরিবর্তে পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত সকল জাতিগোষ্ঠীর জনসংখ্যার অনুপাতে অনগ্রসর কোটা চালু করে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ও বাঙালিদের জন্য সমহারে কোটা নির্ধারণ করতে হবে।

পার্বত্য চট্টগ্রামের সকল প্রতিষ্ঠান ও সংস্থায় সর্বোচ্চ পদে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী হতে পদায়ন করা হয়ে আসছে। জাতীয় ও আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলের সভাপতির পদসহ সকল সংসদ সদস্য, মন্ত্রী, উপ-মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রীর পদসমূহ শুধুমাত্র ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জন্য নির্ধারিত। উন্নয়ন বোর্ড এর চেয়ারম্যানের পদটি পাহাড়ি-বাঙালি উভয়ের জন্য নির্ধারিত থাকলেও এই পদেও সবসময় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী হতে পদায়ন করা হয়ে আসছে। সমতা ও ন্যায় বিচারের স্বার্থে চলতি টার্মে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান পদে একজন বাঙালি নিয়োগ দেয়ার জন্য জোরদাবি জানাচ্ছি।

পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত সকল নাগরিকদের একই ধরনের আয়করের আওতায় আনা এবং ব্যাংক ঋণের ক্ষেত্রে সকল সম্প্রদায়ের জন্য একনীতি প্রণয়ন করতে হবে। চাকরি, ব্যবসা-বাণিজ্য, ঠিকাদারি প্রভৃতি ক্ষেত্রে ১৯৮৪ সালের আয়কর অধ্যাদেশে পার্বত্য চট্টগ্রামের উপজাতিদের জন্য বিশেষ ধারাটি বাতিল করতে হবে অথবা অনগ্রসর হিসেবে পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত সকলের জন্য একই বিধিমালা জারী করতে হবে।

পার্বত্য চট্টগ্রামের সকল ক্ষেত্রে পাহাড়ি-বাঙালি এবং পাহাড়িদের মধ্যে সকল ক্ষূদ্র নৃ-গোষ্ঠী সমূহের মধ্যে জনসংখ্যা অনুপাতে জন প্রতিনিধিত্ব এবং চাকরির নিয়োগ প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে হবে।

পার্বত্য চট্টগ্রামে বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসী সংগঠনের নেতৃত্বে ও ষড়যন্ত্রকারী প্রায় সকলেই চাকমা জনগোষ্ঠীর, তাই এই বিষয়ে রাষ্ট্রের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরী।