ঢাকা | অক্টোবর ১৮, ২০২৪ - ৬:২৮ অপরাহ্ন

চট্টগ্রাম বন্দরে তেলবাহী জাহাজে আগুন, মৃত্যু ৩

  • আপডেট: Monday, September 30, 2024 - 10:11 pm

চট্টগ্রাম থেকে সোহেল ইমাম।। চট্টগ্রামে ডলফিন অয়েল জেটিতে তেল খালাসের প্রস্তুতির সময় বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের (বিএসসি) মালিকানাধীন তেলবাহী জাহাজ `বাংলার জ্যোতি’তে ভয়াবহ বিস্ফোরণে এক ডেক ক্যাডেটসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে বিএসসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমোডোর মাহমুদুল মালেক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

 

এ ঘটনা তদন্তে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) এবং বিএসসি পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।

নিহতরা হলেন ডেক ক্যাডেট সৌরভ কুমার সাহা এবং দুই শ্রমিক নুরুল ইসলাম ও হারুন। একজনের মরদেহ অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে, অন্য দুজনের ছিন্নভিন্ন অংশ পাওয়া গেছে।

চট্টগ্রামের পতেঙ্গা এলাকায় সোমবার সকাল প্রায় ১১টার দিকে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

ফায়ার সার্ভিস, কোস্টগার্ড, বন্দর কর্তৃপক্ষ এবং বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সদস্যরা মিলে ৯০ মিনিটের মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন।

তবে আগুন পুরোপুরি নিভতে বিকেল ৩টা পর্যন্ত সময় লেগেছে। আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের আটটি ইউনিট কাজ করে।

বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডে জাহাজের সামনের অংশ গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর একটা অংশ উড়ে গেছে।

জাহাজটিতে প্রায় ১১,০০০ টন অপরিশোধিত তেল ছিল। এই তেল সমুদ্রগামী জাহাজ থেকে জেটিতে খালাস করে পূর্ব শোধনাগারে নেওয়ার কথা ছিল।

এদিকে, বিস্ফোরণের কারণ তদন্তে বিপিসি সাত সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে। পূর্ব শোধনাগার লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শরীফ হাসনাত কমিটির প্রধান এবং উপ-মহাব্যবস্থাপক (পরিকল্পনা ও জাহাজীকরণ) মো. মোস্তাফিজার রহমান সদস্য সচিব।

কমিটি আগামী সোমবার বা মঙ্গলবারের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেবে বলে আশা করা হচ্ছে। বিএসসিও চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে, যারা শীঘ্রই তাদের তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেবে।

কমোডোর মাহমুদুল মালেক জানিয়েছেন, ‘বাংলার জ্যোতি’ ১৯৮৭ সালে ডেনমার্কে নির্মিত হয়েছিল।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ নৌবাহিনী, বিমান বাহিনী, কোস্টগার্ড, টানেল কর্তৃপক্ষ, চট্টগ্রাম বন্দর এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স আগুন নেভাতে কাজ করে। ১৫,০০০ টন ধারণক্ষমতার জাহাজটিতে ঘটনার সময় ১১,৭০০ টন অপরিশোধিত তেল ছিল।

দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে মালেক রঙের গোডাউন থেকে গ্যাস লিক বা বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের সম্ভাবনার কথা বলেন।

তদন্ত দল সংশ্লিষ্ট সকলের সঙ্গে কথা বলে, সম্পূর্ণ পরিদর্শন করে বিস্ফোরণের প্রকৃত কারণ নির্ধারণ করবে।

বিএসসি নিহতদের পরিবারকে সমর্থন দেবে, সেবা দাহ, কাফন, এবং ক্ষতিপূরণ প্রদান করবে বলেও জানান কমোডোর মাহমুদুল মালেক।