ঢাকা | নভেম্বর ২৫, ২০২৪ - ১:৫০ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম

হাঁটু দিয়ে নারীর জন্য সিঁড়ি বানানো সেনাবাহিনীর সেই ‘সুপার হিরোর’ পরিচয় মিলল

  • আপডেট: Saturday, August 31, 2024 - 9:14 pm

জাগো জনতা অনলাইন।। দেশের ১১টি জেলা বন্যা আক্রান্ত। বন্যাদুর্গত এলাকায় উদ্ধার অভিযান এবং ত্রাণসামগ্রী বিতরণে কাজ করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। এরই মধ্যে এক সেনা সদস্যের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। নারীদের সম্মান দেখিয়ে গাড়িতে উঠানোর জন্য হাঁটু দিয়ে সিঁড়ি তৈরি করে আলোচনায় এসেছেন তিনি।

ভাইরাল ভিডিওতে দেখা গেছে, সেনা সদস্যরা বন্যদুর্গত কয়েকজনকে একটি ট্রাকে তুলছেন নিরাপদ স্থানে নেওয়ার জন্য। কিন্তু তাতে কয়েকজন নারী উঠতে পারছিলেন না। ওই সময় নারীদের সুবিধার্থে নিজের হাঁটু গেড়ে বসে হাঁটুকে সিঁড়ি বানিয়ে তাদের গাড়িতে উঠতে সহায়তা করেন এক সেনা সদস্য।

ওই সেনা সদস্যের নাম ল্যান্স করপোরাল কাজী সুজন। তার বাড়ি বরিশালের গৌরনদী উপজেলার টরকীর কাঁঠালতলী গ্রামে। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আর্টিলারি কোরে কর্মরত রয়েছেন। ২০১২ সালে টরকী বন্দর ভিক্টেরিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় হতে এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে আর্টিলারি কোরে যোগদান করেন। তিনি দূর্লভ রক্তের গ্রুপ ও (নেগেটিভ) হওয়া সত্ত্বেও এ পর্যন্ত ২৩ বার রক্তদান করেন এবং সেনাবাহিনীর রক্তদাতা হিসেবে আখ্যায়িত হন।

বন্যা পরিস্থিতিতে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার ভূজপুরে বন্যার্ত এলাকার রেসকিউট টিমের উদ্ধারকাজে যান সুজন। সেখানে ঘটে হাঁটু গেড়ে সিড়ি বানানোর ঘটনা ঘটে। ওই ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর অনেকেই ফেসবুকে সেনা সদস্য সুজনকে ‘সুপার হিরো’ আখ্যা দিয়ে পোস্ট করেছেন।

ল্যান্স করপোরাল কাজী সুজন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ছাত্রজীবন থেকেই দেশের উন্নয়নে কাজ করে আসছি। দেশকে সেবা করার জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে যোগদান করেছি। মানুষের কল্যাণে নিজের শেষ রক্তবিন্দু থাকা পর্যন্ত কাজ করে যাব।’

গত ২৩ আগস্ট ২০২৪ তারিখে গুইমারা রিজিয়নের আওতাধীন ফটিকছড়ি উপজেলায় বন্যা কবলিত এলাকায় বন্যার্তদের উদ্ধারকাজে তিনি নিয়োজিত হন। ইউনিট অধিনায়কের নির্দেশে দেশপ্রেমিক তরুণ সেনাসদস্য ল্যান্স কর্পোরাল (গানার) কাজী সুজন চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে বন্যায় আটকে পড়া শতশত অসহায় এবং অসুস্থ মানুষদের উদ্ধারে জীবন বাজি রেখে ঝাঁপিয়ে পড়েন। এছাড়াও, তিনি বন্যা কবলিত এলাকায় গরিব ও অসহায় মানুষের পাশে থেকে ত্রাণ বিতরণে নিরলসভাবে পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।