ঢাকা | সেপ্টেম্বর ২০, ২০২৪ - ৩:৪৭ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম

দুর্নীতি-গুম ও হত্যার অভিযোগে বাধ্যতামূলক অবসরে চট্টগ্রাম বন্দর চেয়ারম্যান অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল

  • আপডেট: Tuesday, August 20, 2024 - 7:26 am

জাগো জনতা অনলাইন।। নৌবাহিনী থেকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে চট্টগ্রাম বন্দরের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েলকে।

সোমবার (১৯ আগস্ট) তাকে চাকুরিচ্যুত করা হয়। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি, জোরপূর্বক গুম এবং হত্যাসহ বিভিন্ন অভিযোগ ওঠার পর নৌবাহিনী এই ব্যবস্থা নিয়েছে বলে জানা গেছে। গত তিন বছরে তিনি চট্টগ্রামসহ দুই বন্দরের চেয়ারম্যান থাকাকালে কয়েক শত কোটি টাকার দুর্নীতি করেছেন বলে অভিযোগ ওঠে।

২০২২ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি মোহাম্মদ সোহায়েল কমোডোর থেকে রিয়ার অ্যাডমিরাল হিসেবে পদোন্নতি পান। অভিযোগ ওঠে, কোন জাহাজ বা ঘাঁটি কমান্ড কিংবা গুরুত্বপূর্ণ সামরিক কোর্স না করেই শেখ হাসিনা সরকারের অনুগ্রহভাজন হিসেবে রিয়ার এডমিরাল হিসেবে পদোন্নতি পান তিনি।

মোহাম্মদ সোহায়েল এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। গত বছরের ১২ এপ্রিল চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার আগে তিনি ২০২২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ছিলেন।

সংবাদ মাধ্যম চট্টগ্রাম প্রতিদিনের তথ্য অনুযায়ী, গত ৭ আগস্ট এই দুই তারকা অ্যাডমিরালকে চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান পদ থেকে সরিয়ে নৌবাহিনীতে ফিরিয়ে নেওয়া হয়। সেখান থেকে নৌবাহিনীর ট্রেনিং এন্ড ডকট্রিনের কমান্ডার হিসেবে বদলি করা হয়। গত তিন বছরে তিনি দুই বন্দরের চেয়ারম্যান থাকাকালে কয়েক শত কোটি টাকার দুর্নীতি করেছেন।

২০১০ সাল থেকে পরবর্তী দুই বছর মোহাম্মদ সোহায়েল র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের ডিরেক্টর ছিলেন। এসময় তার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক গুম এবং হত্যাসহ বিভিন্ন অভিযোগে জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠে। মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশকেন্দ্রের হিসাব অনুযায়ী, ২০১০ সালে ১৩৩ জন ‘ক্রসফায়ার’, গুলি ও হেফাজতে নিহত হন। একই বছর ৪৪ জন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দ্বারা অপহরণের শিকার হন।

এদের মধ্যে পরে ছয়জনের লাশ মেলে, সাতজনকে থানায় হস্তান্তর করা হয়। অন্যরা এখনো নিখোঁজ। ২০১১ সালে ১০০ জন ক্রসফায়ার ও হেফাজতে নিহত হয়েছেন। অন্যদিকে ৫৯ জনকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অপহরণ করেছে বলে অভিযোগ ওঠে। পরে ১৬ জনের লাশ পাওয়া যায়, চারজনকে থানা হেফাজতে দেওয়া হয়। অন্যরা এখনও নিখোঁজ।