ঢাকা | সেপ্টেম্বর ২০, ২০২৪ - ৩:৫৫ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম

প্রিয় জামালপুর জেলা ফাউন্ডেশনের বিনামূল্যে রক্তদান সেবার ডোনার পুর্তি অনুষ্ঠিত

  • আপডেট: Tuesday, June 20, 2023 - 5:17 pm

জামালপুর থেকে জান্নাত ফাতেমাঃ  প্রিয় জামালপুর জেলা ফাউন্ডেশনের যাত্রা শুরু ২০২০ সালের ১৭ই নভেম্বর। মাত্র ৭০জন সদস্য নিয়ে যাত্রা শুরু করে সংগঠনটি। যাত্রার শুরু থেকেই জামালপুরে তাঁরা নানা রকম সামাজিক কর্মকাণ্ড করে যাচ্ছেন। তাদের এই সামাজিক কার্যক্রমের মধ্য অন্যতম হলো বিনামূল্যে রক্তদান সেবা। রক্তদান সেবা শুরু করার পর থেকেই তাদের টার্গেট ছিলো এক হাজার জন ডোনার হলেই তাঁরা ডোনার পুর্তি অুনুষ্ঠানের আয়োজন করবে।

গত রোববার (১৮জুন ২০২৩) তাদের এ টার্গেট পূরণ হওয়ায় গতকাল সোমবার (১৯জুন ২০২৩) ডোনার পুর্তি আয়োজন করেন। গতকাল পর্যন্ত তাদের বিনামূল্য রক্তদান করার ডোনার ছিলো এক হাজার তিনজন।

অুনুষ্ঠানে জামালপুর জেলা ফাউন্ডেশনের সভাপতি ফয়সাল আহাম্মেদ বলেন, আমাদের সংগঠনটি অলাভজনক সেচ্ছাসেবী সংগঠন। এ সংগঠনের মূল লক্ষ্য হলো মানব কল্যাণে কাজ করা। সেই কাজের ধরাবিহকতা বজা রাখতে আমার বিনামূল্য রক্তদান সেবাটি চালু করি। আমাদের সংগঠনের সদস্যসহ সবাই এগিয়ে আসায় এ টার্গেট অর্জন করতে পেরেছি। ডোনারদের মধ্য আমাদের রক্ত দানের হয়ে কাজ করছে ১৯৫ জন। সংগঠন এর পক্ষে ৭০ জন বাকিরা বহিরাগত।

তিনি আরও বলেন, আমরা দুই হাজার পরিবারকে বিনামূল্যে রক্ত দিয়েছি। এদের মধ্যে আমাদের অনেক সদস্য একাধিক বার রক্ত দিয়েছে।

এসময় তিনি আরও বলেন, সংগঠনের এ অুনুষ্ঠানের মাধ্যমে আমারা সবার সহযোগিতা চাই। সবার অনুপ্রেরণায় আজ এ ধরণের একটি বড় অনুষ্ঠান
আমাদের সংগঠন এর একটি বড় অর্জন। এটা একমাত্র সম্ভব হয়েছে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বর্গের আন্তরিকতা ও অক্লান্ত পরিশ্রম এর কারণে। আপনারা সবাই দোয়া করবেন আমরা যেন এই কর্মসূচী টি অব্যাহত রাখতে পারি এবং ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পারি। আর ও আন্তরিক হয়ে এর প্রসার ও বৃদ্ধি করতে পারি।

এসময় সংগঠনের সদস্য নুর আহমেদ নবীন বলেন, সংগঠন এর হয়ে ২৮ বার রক্ত দিয়েছি। এখনো চেষ্টা করি দেয়ার জন্য। এছাড়া রক্তদানের অনুরোধ আসলে খুঁজে পেতে সাহায্য করি।

তিনি আরও বলেন, রক্তদানের অনুভূতি বলে শেষ করার মতো না। যখন আমার মাধ্যমে একটা মানুষ এর প্রাণ বাঁচে তখন সব কষ্ট ভুলে যাই।

মঞ্জুরা আখতার বলেন,  আমি রক্ত দান করতে ভয় পেতাম। এর পর গ্রুপে সবার মুখে রক্ত দান এর কথা শুনে অনুপ্রাণিত হয়ে একজন মুমূর্ষু রোগীকে রক্ত দান করি। সেই অনুভূতি টা আমার কাছে অসাধারণ ছিল!

মোঃ নাজমুল হাসান বলেন, আমি একজন স্বাস্থ্য কর্মী। সব সময় দেখে আসছি রক্ত কত টা গুরুত্বপূর্ণ একটা মানুষ এর জন্য। আমি সুযোগ পেলেই রক্ত দান করি। মানুষ এর মুখের হাসি আমার কাছে সত্যি অনেক দামী।

হালিমা আকন্দ বলেন, আমার রক্তদান করতে ভালো লাগে। নিজেকে মহান মনে হয়। তাই আমি রক্ত দেই।